বরিশাল: গৌরনদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জুতাপেটাকারী বখাটে মাহাবুব আলম কুট্টিকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
অপরদিকে হামলার নেপথ্যের মূলহোতারা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন বরিশালটাইমসকে জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালায়। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার অন্যতম আসামি মাহাবুব আলম কুট্টিকে টরকীর চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।’
অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। টরকী বন্দরের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী হালিম সরদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩০) অভিযোগ করেন- মামলা দায়েরের পর থেকে হামলার নেপথ্যের মূলহোতা সেলিম সরদার, ইমাম বেপারী, আকরাম সরদার ও মানছুরা বেগম মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।’
তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে তিনি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
এরআগে মোবাইল রিচার্জের দোকান থেকে সৌদি প্রবাসী হালিম সরদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের ছোট বোন পপি আক্তারের (১৮) মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয় টরকী বন্দরের বাসিন্দা প্রভাবশালী মাহাবুব আলম কুট্টি।’
এতে সে (পপি) রাজি না হওয়ায় তার বড় বোন মরিয়মকে ফোন দিয়ে কুট্টি পপিকে তার প্রস্তাবে রাজি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগসহ মারধরের হুমকি প্রদর্শন করে। গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে মরিয়ম বাজারের উদ্দেশ্যে টরকী বন্দরে যাওয়ার সময় স্থানীয় হাইস্কুলের সামনে পৌঁছলে মাহাবুব আলম কুট্টি তার সহযোগী কমলাপুর গ্রামের সেলিম সরদার, আকরাম সরদার, রমজানপুর গ্রামের ইমাম বেপারী ও মানছুরা বেগম পথরোধ করে।’
এসময় কুট্টি প্রকাশ্যে জনসম্মুখে মরিয়মকে জুতাপেটাসহ মারধর করে আহত করে।
এ ঘটনায় গৃহবধূ মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। হামলার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর