বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৭:৩৪ অপরাহ্ণ, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গাজী আবু বকরের (৫৫) ওপর যুবলীগ কর্মীরা হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এমনকি হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ তার দুই চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পিংলাকাঠী বাজার এলাকায়। গুরুতর অবস্থায় রাতেই তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত পোনে ৭টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক গাজী আবু বকর (৫৫) ও সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস, উপজেলা যুবদলের সদস্য ফুয়াদ হোসেন (৪২) পিংলাকাঠী বাাজারের আজাহার হাওলাদারের দোকানে চা পান করে বের হয়ে একটি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ৮ থেকে ১০ জন সস্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এসময় তারা গাজী আবু বকরকে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে ক্রিকেটের ষ্টাম্প দিয়ে আবু বকরের চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায়।
এ দৃশ্য বাজারের মধ্যে ব্যবসায়ী ও পথচারীরা দেখলেও কেউ উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে হামলাকারীরা বীরদর্পে চলে যাওয়ার পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে শুক্রবার সকালে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গাজী আবু বকর অভিযোগ করে বলেন- ক্ষমতাসীন দলের যুবলীগ সন্ত্রাসী আসাদ আকনের (২৬) নেতৃত্বে তার সহযোগী বাবু (২৪), সাবিবর ও রাজীবসহ একদল সন্ত্রাসী হকিষ্টিক, লোহার রড ও ক্রিকেটের ষ্টাম্প নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এমনকি চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালিয়ে চোখ নষ্ট করে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত আসাদ আকন, বাবু, সাব্বির ও রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে করে তাদের পাওয়া যায়নি।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রোগীর শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ডান চোখের অবস্থা গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চোখ ভাল আছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। তাকে বরিশাল ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, কেউ অভিযোগ করেন নাই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’