বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডারের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈকত গুহ পিকলুসহ যুবলীগের ১০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে সরকারি দলের ৪০ নেতা-কমীকে আসামি করে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গৌরনদী উপজেলার পূর্ব বেজহার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ার হোসেন রাঢ়ী বাদী হয়ে দণ্ডবিধি এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে গৌরনদী থানার ওসিকে অত্র নালিশীর এজাহারভুক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন ইউপি চেয়াম্যানের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টু (৩৫), ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা হাসান আল মামুন (৩২), ছাত্রলীগ কর্মী অভি রাঢ়ী (২২), আওয়ামী লীগ কর্মী গোলাম ফারুক সরদার (৫৫), ব্যবসায়ী আঃ জলিল রাঢ়ী (৪০), যুবলীগ কর্মী আঃ ছত্তার রাঢ়ী (৩৫), এস্কান্দার রাঢ়ী (৪০), মানিক সরদার (২৫), ছাত্রলীগ কর্মী বেল্লাল খান (২৮)।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ অক্টোবর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উল্লেখিত আসামিরা তাদের দলীয় আরও ২৫/৩০ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী আসামি নিয়ে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদির বাড়িতে আক্রমণ করে। এ সময় আসামি হাসান আল মামুন চাপাতি দিয়ে বাদির ছেলে রাসেল হোসেনকে কোপ দেয়। এতে তার বাম হাত গুরুতর জখম হয়। সে সময় রাসেলকে রক্ষার জন্য বাদির পুত্রবধূ ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুকাইয়া বেগম এগিয়ে গেলে তার তলপেটে লাথি মারে পিকলু। ওই সময় আসামিরা বাদির ঘরে ঢুকে মালপত্র ভাঙচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এমনকি আসামি গোলাম ফারুক সরদার বাদির ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে সোয়া লাখ টাকা নিয়ে যায়। লাথির আঘাতে পুত্রবধূ রুকাইয়া বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে ৯ অক্টোবর বিকেলে গৃহবধূকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা খারাপ দেখে ডাক্তাররা সেখানে সিজার অপারেশন করলে রুকাইয়া বেগম নবজাতক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। আসামিদের আঘাত জনিত কারণে জন্মের তিন ঘন্টা পর নবজাতকটি মৃত্যুবরণ করে বলে মামলায় বিবরণে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার কথা আমি শুনেছি। আদালত থেকে মামলার কপি এখনও হাতে পাইনি। আশা করি আগামী ২/১ দিনের মধ্যে মামলার কপি হাতে পেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।