বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম বার্থী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে ওই শিক্ষক ঘটনার পর তিন দিন ছুটি ভোগ করে মেডিকেল ছুটি নিয়ে বাড়িতে বসে অলস সময় কাটছেন।
নির্যাতিত ২ ছাত্রী অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদল চক্রবর্তী চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪র্থ শ্রেণীর বাংলা ও গণিত এবং ৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস নিতে আসে। পাঠ্যবই পড়ানোর সময় ওই শিক্ষক ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন। ওইদিন বাড়ি ফিরে তারা বিষয়টি তাদের অভিভাবককে জানায়। এরপর অভিভাবকরা বিষয়টি সহকারী শিক্ষিকাদের অবহিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যৌন হয়রানির শিকার দুই ছাত্রীর আত্মীয় তপু সরদারসহ ৩ আত্মীয় গত ১৩ নভেম্বর দুপুরে স্কুলে গিয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে গালাগাল করেন। এ সময় তারা স্কুলে কর্তব্যরত একমাত্র সহকারী শিক্ষিকা রেশমার পাশের বাড়িতে গিয়ে সাবেক সহকারী শিক্ষক গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের কাছে বিচার দিয়ে আসেন। এরপর প্রধান শিক্ষক বিষয়টি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ্জাহান প্যাদাকে জানান। এসএমসির সভাপতি প্রধান শিক্ষককে কয়েকদিন ছুটি নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেডিক্যাল ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বার্থী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ্জাহান প্যাদা মুঠোফোনে বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে স্কুলে আসতে বারন করেছি। ছুটি ভোগ করে মেডিক্যাল ছুটি নিয়ে জানুয়ারি মাসে বদলি হয়ে যেতে বলেছি।
কটকস্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির সময় একই অভিযোগে ওই প্রধান শিক্ষককে এই স্কুলে বদলি করা হয়েছিল।
এদিকে উল্লেখিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদল চক্রবর্তী বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। জনৈক এক সহকারি শিক্ষিকার যোগসাজশে একটি মহল যৌন হয়রানির অপবাদ দিয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। উপায়ন্ত না পেয়ে আগামী এক মাসের মেডিক্যাল ছুটি নেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বদিউজ্জমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টির লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।