বরিশাল: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সাউতিকান্দা গ্রামে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পর তাকে ফরিদপুর নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়েছে পুলিশ। গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ভাঙ্গা থানায় চার ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
ধর্ষকদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিযুষ। পুলিশ ও গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী সূত্রে জানা যায়- ঢাকার মিরপুরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন বরিশালের গৌরনদী এলাকার ২৪ বছর বয়সী লিরা (ছদ্মনাম)। সেখানেই পরিচয় গোপালগেঞ্জের মাকসুদপুরের জনৈক রবিউলের সঙ্গে। স্বামী পরিত্যক্তা লিরার মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে রবিউল তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
একটা সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) তাকে নিয়ে যায় ফরিদপুরে ভাঙ্গা উপজেলার সাউতিকান্দা গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাসায়। সেখানে লিরাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয় সে। তারপর রাতভর ধর্ষণ করে তাকে। পরদিন (বৃহস্পতিবার) লিরাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রওনা দেয় রবিউল। কিন্তু সে ফোন দেয় তার বন্ধু হাসানকে। হাসান তাদের নিয়ে যায় সাউতিকান্দা গ্রামেরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে।
সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে রবিউল, হাসান ও তাদের আরও দুই বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে লিরাকে। এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনাও করে রবিউল। টের পেয়ে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে পালিয়ে যান লিরা। কিন্তু অসুস্থ শরীর নিয়ে একটি ডোবায় অচেতন হয়ে পড়ে থাকেন তিনি। আর রবিউল ও তার বন্ধুরা লিরাকে খুঁজে না পেয়ে রাতেই ওই গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা লিরাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পিযুষ বলেন, ‘খবর পেয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। চার জনকে আসামী করে ভাঙ্গা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণী। ধর্ষকরা ভিন্ন থানার অধিবাসী। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর, বিশেষ খবর