বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, ০৫ জুন ২০১৭
বরিশালের গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে তল্লাশির নামে টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লঞ্চ ঘাটের দক্ষিণ একটি প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়ে মালামাল তছনছ করে পুলিশ।
এমনকি ওই সময় ক্যাশ থেকে ৩০ হাজার ৬২০ টাকা ছিনিয়েও নেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন।
গত রোববার (০৪ জুন) এমনই অভিযোগ বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) আক্তারুজ্জামানের কাছে তুলেছেন ব্যবসায়ি মো. ছবেদ আলী (৫০)।
একই সাথে লুট করা টাকা ফেরতের পাশাপাশি ওই পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তিও দাবি করেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে তুলে ধরা হয়েছে- গৌরনদী উপজেলার দিয়াসুর গ্রামের কাশেম আলী সরদারের পুত্র মো. ছবেদ আলীর (৫০) গৌরনদী লঞ্চঘাটের দক্ষিণ পাশে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ২১ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তিনিসহ ব্যবসায়ী আলমগীর সরদার, ইউসুফ সরদার, মোকলেছ সরদারসহ ৪ থেকে ৫ জন ব্যবসায়িক আলোচনা করছিলেন।
ওই সময় গৌরনদী মডেল থানার এএসআই মো. দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল মোহাম্মদ আলীসহ ৭ থেকে ৮ জন একত্রে ঘটনাস্থলে সাদা পোশাকে উপস্থিত হন।
একপর্যায়ে এএসআই দেলোয়ার কোন কিছু না বলেই তার দোকান তল্লাশি করে মালামাল তছনছ করেন। পরিশেষে কিছু না পাওয়ার পরে ওই ব্যবসায়ির ক্যাশ বাক্সে থাকা ৩০ হাজার ৬২০ টাকা ছিনিয়ে নেন এবং জুয়া খেলার অপবাদ দিয়ে আমাদের সবাইকে থানায় নিয়ে ৪ঘণ্টা আটকে রাখেন।
পরবর্তীতে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কাউকে কিছু না বলার শর্তজুড়ে দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন।
ব্যবসায়ির অভিযোগ লিখিত আকারে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. আক্তারুজ্জামান। তিনি বরিশালটাইমসকে বলেন- বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে এএসআই’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বরিশালটাইমসকে বলছেন- এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’