প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)-এর ৪১তম পরিচালনা পরিষদের সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল বক্তব্য দানকালে এই আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন- আমরা বিশ্বাস করি, স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় এবং বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া এটি অর্জন করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন- দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে উন্নয়ন সহযোগীদের আরও একটু উদার হতে হবে। অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ফ্রাজিলিটি টু লং টার্ম রেসিলেন্স : ইনভেস্ট ইন সাসটেইনেবল রুরাল ইকোনোমি’।
এসময় তিনি বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সহায়তা অব্যাহত থাকার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে বলেন, অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে ইফাদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন- ইফাদ’র সহায়তার ও সহযোগিতার মডেলটি জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা থেকে অনেক ভিন্ন। ইফাদ’র এই মডেলটি মানবতায় এখনকার মতে অনাগত দিনগুলোতেও কাজ করে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন- দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা স্থাপন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা যাবে না। গ্রামীণ সামাজিক ও জলবায়ুগত স্থিতিশীলতার উন্নয়নে একটি ব্যাপকভিত্তিক টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা টেকসই গ্রামীণ অর্থনীতি তৈরিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন- প্রায় এক দশক ধরে সুশাসন থাকায় বাংলাদেশ ভাগ্যবান।
শেখ হাসিনা বলেন- গ্রামাঞ্চলে কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না- এই চ্যালেঞ্জই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৭২ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে এবং ৪৩ শতাংশ কৃষিখাতে শ্রমজীবী হিসেবে কাজ করে, যারা দেশের জিডিপিতে ১৫ শতাংশ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন- গ্রামীণ অকৃষি খাতের কর্মীর সংখ্যা শতকরা ৪০ শতাংশ যারা গ্রামীণ আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি আয় করে। কাজেই অর্ন্তভুক্তিমূলক এবং টেকসই গ্রামীণ রূপান্তরই দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা দূর করা এবং কাউকে পেছনে ফেলে না রাখার লক্ষ্য অর্জনের মূলশক্তি।
শেখ হাসিনা বলেন- চলমান গ্রামীণ রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা হবে, যার মাধ্যমে অকৃষিখাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ গতিশীলতা এবং গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করা হবে।”
শিরোনামজাতীয় খবর