গ্রাম-গঞ্জে বিক্রি হচ্ছে সাকার ফিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: দেশের নদী-বিল তো বটেই, ডোবা-নালাতেও হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে সাকার মাউথ ক্যাটফিস। জলজ বাস্তুসংস্থান ও দেশি মাছের অস্তিত্বের জন্য ভয়ানক হুমকি নয় মানুষের জন্যও হয়ে উঠেছে এ মাছ।
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে সাকার মাউথ ক্যাটফিস। এতে আতঙ্কিত স্থানীয়রা।জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে সাগরের মাছ বলে বিক্রি করছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আউলিয়াপুর বাজারে এ মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাক্ষুসে প্রজাতির না হলেও সাকার ফিশ প্রচুর খাবার খায়। বংশ বিস্তার করে দ্রুত। জলজ পোকামাকড় ও শ্যাওলার পাশাপাশি ছোট মাছ এবং মাছের পোনাও খেয়ে থাকে সাকার।
তা ছাড়া এ মাছের পাখনা খুব ধারালো হওয়ায় এর আঘাতে সহজেই অন্য মাছের দেহে ক্ষত হয় এবং পরে পচন ধরে মারা যায়। মো. মোশারফ নামে মাছ ব্যবসায়ী জানান, তার বিক্রি করতে আনা সাকার ফিসগুলো একজন জেলে তাকে বিক্রি করতে দিয়েছেন।
তিনি জানেন না মাছগুলোর নাম কি এবং এর গুণ কিংবা ক্ষতির কথা। তবে সাগরের মাছ বলে বিক্রি করার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, এ ধরনের মাছ না খাওয়াই ভালো। আর এগুলো বিক্রি করারও নিয়ম নেই।
ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন বলেন, এ ধরনের মাছ বিক্রি তথ্য পেলে আমরা খুব দ্রুত আমরা ব্যবস্থা নেব।
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর