ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত তবুও রয়েছে বহাল তবিয়তে ইউপি সচিব
মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. মানিকুর রহমান (বাচ্চু) বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছিলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্তে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক বরাবর।
তবে এঘটনার প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও ওই ইউনিয়ন সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি জেলা প্রশাসক। বহাল তবিয়তে থেকে আগের চেয়ে বেপরোয়া হয়ে কাজ করছেন এই ইউপি সচিব। গত ৭ আগস্ট তাদের দুই কন্যা সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সনদে মায়ের নাম সংশোধনের জন্য নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. মানিকুর রহমান (বাচ্চু) কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র জমা দেন ভুক্তভোগী এক নারী।
এসময় নাম সংশোধনের জন্য ইউপি সচিব পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করলে পরে দর কষাকষির মাধ্যমে দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি ৷ বিকাশের মাধ্যমে ইউপি সচিবকে এক হাজার টাকা দেয়া হলেও তিনি কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তী ফের বিকাশের মাধ্যমে তাকে আরো এক হাজার বিশ টাকা দিতে বাধ্য হয় ভুক্তভোগী।
এঘটনায় ভুক্তভোগী বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে গত ১৪ আগস্ট ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত সচিব উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে তথ্য প্রমাণ যাচাই করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী। যাচাই-বাছাইতে ভুক্তভোগীর দাখিল করা কাগজ- পত্রে প্রমাণিত হয় ইউপি সচিব মো. মানিকুর রহমান (বাচ্চু) জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য ২ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন।
এরপরে তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক বরাবরে। দীর্ঘ এক মাস অতিবাহিত হলেও এই অভিযুক্ত ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো ধরনের ব্যবস্থা। এ ঘটনার পরে তিনি (ইউপি সচিব) আগের চেয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে কাজ করছেন বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানিয়েছেন।
অভিযোগকারি এইচ এম হান্নান বলেন, ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার পরেও কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ার আমি সহ সাধারন মানুয়ের মধ্যে হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে। এ ঘটনায় প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্তা হারিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী বলেন,তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নূর কুতুবুল আলম জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর