ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ঝালকাঠিতে ৪ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাব পড়েছে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে। সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।
জেলায় ভোররাত থেকে বিদুৎ সরবারাহ এবং মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও জানা গেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতীরের বাসিন্দারা ততই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। তাঁরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সাধ্যমত প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। অপরদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর সভাপতিত্বে সভায় জানানো হয়, জেলায় ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার ও জরুরী প্রয়োজনে ৪২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানে চার লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। শুকনো খাবার ও নগদ টাকাও জমা আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। শহরের পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা সুভাষ বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনে মানুষের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অনেকে শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কেউ আবার গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। আমরা খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন পার করছি।
ঝালকাঠি শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দলনেতা হুমায়ুন কবির সাগর বলেন, ইতোমধ্যে সুগন্ধা নদীর তীরে আমার বাসাকে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করেছি। এখানে দুই শতাধিক মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, জেলায় ত্রাণের শুকনো খাবার মজুদ নেই। তবে নগদ টাকা ও অন্যান্য সব ব্যবস্থা রয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছাসের শঙ্কা রয়েছে। আমরা চার লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি।
ঝালকাঠির খবর, বিভাগের খবর