ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মঠবাড়িয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: রাতভর অবিরাম বৃষ্টি ও থেমে থেমে দমকা বাতাসে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী মানুষের মাঝে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বলেশ্বর নদীর পানি ফুলে-ফেঁপে তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বড় মাছুয়া, ছোট মাছুয়া, খেজুরবাড়িয়া, উলবাড়িয়া, বেতমোর, খেজুরবাড়িয়া, খেতাচিরা, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, আমড়াগাছিয়া, সাংরাইল, কাটাখাল গ্রাম ও মাঝেরচরের মানুষ জলোচ্ছ্বাসের আতঙ্কে রয়েছেন।
এদিকে অবিরাম বর্ষণে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ফসলের মাঠ, পুকুর, ঘের পানিতে ডুবে গেছে। এলাকার অনেকে ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বলেশ্বর নদীর মধ্যবর্তী মাঝেরচরের বাসিন্দা আব্দুল হালিম জানান, বলেশ্বর নদীর পানি চার ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী উত্তাল হয়ে আছে।
স্থানীয় জেলে পরিবারগুলো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দমকা ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কলাক্ষেত, পানের বরজ এবং শীতকালীন সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বড়মাছুয়ার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য বিধান চন্দ্র মিস্ত্রী জানান, সম্প্রতি বড়মাছুয়া লঞ্চঘাট ও বড়মাছুয়া স্টিমার ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়। এসব জিও ব্যাগ ধ্বসে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। আমন ধানের মাঠ পানিতে ডুবে গেছে।
স্থানীয় কৃষকদের আশংকা, এতে ধান হেলে পড়তে পারে। এখন আমন ধান বিনষ্ট হলে পরে আর আমন রোপণ করারও সময় নেই। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
এদিকে চরখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাণ্ডারিয়ার পশারিবুনীয়া নামক স্থানে একটি বেইলি ব্রিজ ধ্বসে পড়ায় রবিবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে এ মহাসড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ আছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উর্মি ভৌমিক জানান, ৭৯টি সাইক্লোন শেল্টার এবং এক হাজার ৭০০ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার রাখা আছে। মাইকিংসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পানিবন্দী মানুষদের নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পিরোজপুর, বিভাগের খবর