বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, ২২ নভেম্বর ২০১৬
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে বরিশাল বুলসকে ৭৮ রানে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। ১৮৬ রানের তাড়ায় বরিশাল ১৮.৪ ওভারে ১০৭ রানে অলআউট হয়। টুর্নামেন্টে নিজেদের চতুর্থ জয়ে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চার নম্বরে চিটাগং।
রান তাড়া তো দূরের কথা, চিটাগংয়ের বোলারদের সামনে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেননি বরিশালের ব্যটসম্যানেরা। উইকেট নেওয়ার উৎসবটা শুরু করেন মোহাম্মদ নবী। দুই ওপেনার ডেভিড মালান ও নাদিফ চৌধুরীকে ৫ ও ৪ রানে ফিরিয়ে দেন এই আফগান অলরাউন্ডার। এরপর আঘাত হানেন শুভাশীষ রায়। তিনি ১ রানে বোল্ড করেন ওয়ান ডাউনে নামা শাহরিয়ার নাফীসকে। এখানেই নিশ্চিত হয়ে যায় জয়ের বন্দরে আর নৌকা ভিড়বে না বরিশালের। পরের ওভারেই ১ রানে জীবন মেন্ডিসকে সাজঘরের পথ ধরান নবী। ১৮৬ রানের তাড়ায় ১২ রানে নেই বরিশালের চার উইকেট। ম্যাচের গন্তব্য কোথায তা নিশ্চিত হয়ে যায়।
এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজ ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া দেখতে বোধহয় ভালো লাগছিল না অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। তাসকিনের বল টেনে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকটে নবীর হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি। ১৪ বলে ১৯ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। থিসারা পেরেরা ও রায়ান এমরিটের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ১ ও ৬ রান।
ডুবন্ত তরীকে ভাসিয়ে রাখেন এনামুল হক। কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলা এই এনামুল নিজ দলের ছাই ভস্মের মাঝে দাঁড়িয়ে ৩৭ বলে চারটি ছক্কা ও চারে ৪২ রানে অপরাজিত থেকে যান। তার অবদানেই আরও বড় লজ্জা থেকে বাঁচে বরিশাল। নবী ১৬ রানে তিনটি ও শুভাশীষ ১৬ রানে দুটি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ডোয়াইন স্মিথ ও শেষে শোয়েব মালিকের দুটি মারমুখী ইনিংসের ওপর ভর করে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় চিটাগং।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং অধিনায়ক তামিম ইকবাল ১৯ বলে ১৯ রান করে আউট হলেও জ্বলে ওঠে তার উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী স্মিথের ব্যাট। ৪৯ বলে ৬৯ রানের ইনিংসে তিনি দিশেহারা করে ফেলেন বরিশাল বোলারদের। ওপেন করতে নেমে ১৬ ওভারের পঞ্চম বল পর্যন্ত টিকে ছিলেন স্মিথ। পেরেরার বল ড্রাইভ করে আরেকটি ছক্কা মারার প্রত্যাশা পূর্ণ হয়নি তার। ইনামুল হক ক্যাচ ধরলে তার তিনটি ছক্কা ও চারটি চারে সাজানো ইনিংসটি শেষ হয়। ওয়ান ডাউনে নামা এনামুল হক বিজয় পেরেরার স্লো ফুল টসে ড্রাইভ করে কাভারে আবু হায়দার রনির হাতে ধরা পড়েন। ১৩ বলে ১১ রান করেছিলেন বিজয়।
নবী চিটাগংয়ের গত ম্যাচে ব্যাটের ঝলকানি দেখালেও এবার পারেননি, মাত্র ৪ রাণে তিনি বিদায় নেন।
তবে বরিশাল বোলারদেরকে শাসন করতে থাকেন শোয়েব মালিক। ২৬ বলে পূর্ণ হয় তার অর্ধশতক। ইনিংসের শেষ বলে শেষ হয় তার ৩০ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটি, যাতে ছিল বরিশাল বোলারদের দীর্ঘশ্বাস মাখা দুটি ছয় ও নয়টি চারের মার।
পেরেরা ও কামরুল ইসলাম রাব্বি দুজনেই নেন ৩৭ ও ২৯ রানে দুটি করে উইকেট।