চরমোনাই পির: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ক্ষমতা ছাড়ুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। সোমবার (২০ জুন) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ইসলামী আন্দোলনের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচন বন্ধ, স্বাধীনতার মূল লক্ষ সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও সেই দুর্যোগ বাড়িয়ে তোলে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি। সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আজ যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার দায় এড়াতে পারে না।
সরকারকে উদ্দেশ করে চরমোনাই পির বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। বলেন, আপনারা অনেক কিছু করেছেন। সাহস থাকলে ভোটের সুন্দর পরিবেশ করুন, মানুষ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে। এতে বোঝা যায় আপনারা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারেননি।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ১৫ দফার সঙ্গে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ একমত, মতামত নিয়ে দেখুন। দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। কিন্তু সিলেবাস থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দিয়ে জাতিকে কী শেখাবেন? কাদের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করুন। দেশের স্বাধীনতার জন্য লাখো মানুষ জীবন দিয়েছেন, ইজ্জত দিয়েছেন। সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করতে জানে বাংলাদেশের জনগণ। ইসলাম রক্ষার জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, আমরা দেখি নৌকাকে বিভিন্ন সময় পানির ওপর ভেসে থাকতে। আবার হঠাৎ নৌকা পানির নিচে ডুবে যায়। এর কারণ অনুসন্ধান করে দেখুন, নাস্তিকদের ভারে নৌকা পানির নিচে ডুবে যায়।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইভিএম ভোট জালিয়াতির পদ্ধতি, এটা প্রমাণিত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইভিএম প্রত্যাখ্যান হয়েছে। আমরা সম্পূর্ণভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট চাই না।
ইসলামী আন্দোলনের তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নদভীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মা. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মা. ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।’
শিরোনামবরিশালের খবর