চলতি মাসেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বয়ে যেতে পারে দাবদাহ। একই সময়ে উত্তর-দক্ষিণা রয়েছে কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা।
আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান- মাঝারি তাপপ্রবাহে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে তাপমাত্রা। আর মৃদু তাপপ্রবাহে থাকে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রির মধ্যে। সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। চলতি মাসে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ২ থেকে ৩ দিন বজ্রসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী, বজ্রঝড় ও দেশের অন্যত্র ৪ থেকে ৫ দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী, বজ্রঝড় হতে পারে।
এ সময় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) এবং অন্যত্র এক থেকে দুটি মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলছে- বর্তমানে পূবালী ও পশ্চিমা বাতাসের সংযোগ না ঘটায় দেশে গরম অনুভূত হচ্ছে। ২ থেকে ৩দিনের মধ্যে গ্রীষ্ম পরিস্থিতির বিশেষ কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখছে না অধিদপ্তর।
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে- এপ্রিলে দেশের উত্তর-দক্ষিণে চার থেকে পাঁচদিন কালবৈশাখী ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। আর এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। পাশাপাশি এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে- নতুন নতুন অঞ্চলে মাঝারি এবং মৃদু তাপপ্রবাহের বিস্তার ঘটেছে। এর ফলশ্রুতিতে ঢাকা, বরিশাল, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগ, বগুড়া ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের ওপর দিয়ে স্থানভেদে মাঝারি থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি থাকে। এ সময় তীব্র গরমের পরপরই আধঘণ্টার ব্যবধানে তৈরি হয় ঝড়োহাওয়া।
কালবৈশাখীর দাপটও থাকে বেশি। সূর্যের কিরণকাল বাড়ছে। আমাদের অঞ্চলে সূর্যরশ্মি পড়ছে তির্যকভাবে। এসব কারণেই দেশে উষ্ণ পরিস্থিতি চলছে।
শিরোনামবরিশালের খবর