জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজের উপস্থিতে ‘ভাইয়া বাহিনী’র কয়েক দফা হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দশমিনা উপজেলায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মূহূর্তে রক্তারক্তির আশঙ্কা করছে স্থানীয় জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- সোমবার দশমিনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বাছাই উপলক্ষে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ সকাল ১১ টায় দশমিনা আসেন। এ সময় দশমিনার সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির ‘ভাইয়া বাহিনী’র প্রধান ও দশমিনা সদর ইউনিয়নের আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন তার বাহিনী নিয়ে মিছিল সহকারে উপজেলা পরিষদের সামনে চিফ হুইপকে স্বাগত জানায়।
এ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে যাবার পথে লিটনের ভাই আবু সাদ্দাত মো. সায়েম মিছিলের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইমরান সিকদার বাপ্পিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে চিফ হুইপকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর দিকে যেতে চাইলে ভাইয়া বাহিনীর ক্যাডাররা বাধা দেয়।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন শওকত ভাইয়া বাহিনীর সমর্থকদের লিটনের নামে স্লোগান না দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিতে বলায় চিফ হুইপের সামনেই হামলা চালায় শওকত ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় ভাইয়া বাহিনী।’’
হামলায় জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন শওকত, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নাসির পালোয়ান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন সোরনিয়াবাত, যুবলীগ নেতা শাহিন শাহ, মো. মুসা, মো. শাহদাত হোসেন, রনগোপালদী যুবলীগ সভাপতি জামাল মুন্সি, আলীপুর যুবলীগ সভাপতি ইমাম হোসেন আহত হয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত বরিশালটাইমসকে জানান- আওয়ামী লীগের মধ্যে সুবিধাভোগী একটা গ্র“প আমি এবং আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ বিষয় ইকবাল মাহমুদ লিটন বরিশালটাইমসকে বলেন- যুবলীগের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন পালোয়ান ও কানা বাপ্পি আমার শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে।”
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, টাইমস স্পেশাল, পটুয়াখালি