বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৪:৪৯ অপরাহ্ণ, ০১ জানুয়ারি ২০২০
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দুই দফায় হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বেলা ১১টায় সভা শুরু হলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে দুবার হাতাহাতি হয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। পরে সিনিয়র নেতারা এসে বিবাদমান গ্রুপকে সরিয়ে দেয়।
এদিকে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকে। এই ককটেল বিস্ফোরণে কোনো হতাহতের ঘটেনি।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন, পায়রা উড়িয়ে ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশের উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আমানউল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বর্তমান সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ অনেক লম্বা লম্বা কথা শুনতে পাই। অনেকেই মিডিয়ায় বড় বড় কথা বলছেন। এসব কথা বলার নৈতিক অধিকার তাদের নেই।
আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই– আসুন, দেখুন মানুষ আপনাদের ভালোবাসে কিনা। অস্ত্র ছেড়ে, নিরাপত্তা ছেড়ে; আসুন– দেখুন মানুষ কী বলে।
একাদশ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে একশজনকে জিজ্ঞেস করে দেখুন, তাদের ৯০ জনই বলবে ভোট দিতে পারেনি। জনগণের ম্যান্ডেটহীন অবৈধ সরকার জোর করে টিকে আছে।
তিনি বলেন, গুম-খুনের এই বাংলাদেশ আমরা চাইনি। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, তাবেদারি করার জন্য নয়। গণতন্ত্রহীনতা দেখার জন্য নয়।
সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি এ কথা বারবার প্রমাণ করার জন্য যে, এই সরকারের অধীনে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না–¬ এটি প্রমাণ করার জন্য।