১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা: ১৪ বছর পর মামলা হলেও চক্রান্ত থেমে নেই

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:১৩ অপরাহ্ণ, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

কুয়াকাটা প্রতিনিধি:: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৪ বছর পর মামলা হয়েছে। কিন্তু এ মামলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা  করছে কলাপাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন নিহতের ভাই কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তাইফুর রহমান আরিফ।

তার অভিযোগ, ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর জিয়াউর রহমানকে তৎকালীন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষক লীগের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রগ কেটে হত্যা করে।  এ ঘটনায় সে সময়ে মামলা কিংবা ময়নাতদন্ত করতে পারেননি।

৫ আগস্ট খুনি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জিয়াউর রহমান হত্যার ঘটনায় সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান,  সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান,  সাবেক পৌরমেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদারসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার প্রধান আসামী সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান গত মাসে মারা গেছেন।

এদিকে এ মামলাকে মিথ্যা দাবি করে গত ১০ অক্টোবর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করেন। এবং এ মামলায় হয়রানিমূলক সাধারণ মানুষকে আসামি দেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তার ভাইকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে।  কিন্তু ১৪ বছর আমার পরিবার বিচার চাইতে পারেননি। এখন যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, তাদের নির্দেশ ও অংশগ্রহণে জিয়াউরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।  কাউকে হয়রানিমূলকভাবে আসামি করা হয়নি।

ছাত্রদল নেতা আরিফ জানান, তার ভাইকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা এবং মামলাটি নিয়ে অপপ্রচারকারী মুফতি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি রাখেন।’

86 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন