বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) এ সেচ্ছাসেবি সংগঠন যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কমিটি গঠন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানায় এক গ্রæপের সাইদুল ইসলাম তুহিন ও অপর গ্রুপের আলিম আল ফয়সাল সিদ্দিকী বাদী হয়ে পৃথক দুই মামলা করে।
তুহিন বাদী হয়ে করা মামলায় ১৭ নামধারী ও অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। ফয়সাল সিদ্দিকী বাদী হয়ে করা মামলায় নামধারী যুব রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি, ইর্ন্টানী চিকিৎসক নেতা ও ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। কমিটি গঠন নিয়ে গত রোববার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে করা উভয় পক্ষের মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার পর গুরুতর জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলা রুজুর পূর্বে মঙ্গলবার গভীর রাতে বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার একটি দল শেবামেক’র দুই ছাত্রাবাসে অভিযান করতে যায়। কিন্তু অধ্যক্ষ বিষয়টি সমাধানের জন্য সময় চেয়ে অভিযান করার অনুমতি দেয়নি। এরআগে ওই রাতে তুহিন গ্রুপ হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের ও ফয়সাল গ্রæপ মঈনুল হায়দার ছাত্রাবাসের সামনে স্বশস্ত্র অবস্থান নিয়েছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে তাদের সামনে দিয়ে উভয় গ্রুপ অস্ত্র নিয়ে ছাত্রাবাসের মধ্যে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার আজাদ রহমান জানান, সংঘর্ষের সম্ভাবনা থেকে অভিযান পরিচালনার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহা অভিযানের অনুমতি দেয়নি। শেবামেক’র অধ্যক্ষ ডা. ভাস্কর সাহা জানান, সব দিক চিন্তা করে হলে অভিযানের অনুমতি দেয়া হয়নি। শিক্ষক ও ছাত্রলীগের দুই গ্রæপকে নিয়ে সমাধান করার জন্য পুলিশের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে।’
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর