৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

ছারছীনা দরবারের সূফীর ইন্তেকাল: বিভিন্ন মহলের শোক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৪ অপরাহ্ণ, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭

শতাব্দীর ঐতিহ্যধন্য ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া ই ইসলামিয়ার স্বনামধন্য সুযোগ্য সাবেক মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুর রশীদ (সূফী সাহেব) হুজুর ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় বার্ধ্যাক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্তেকালের সময় তাঁর বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৮০ বছর।

মৃত্যুকালে তিনি ১ স্ত্রী, তিন ছেলে ও চার মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি ১৯৪০ সালে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজায় জন্মগ্রহণ করেন । ছারছীনা মাদরাসায় কামিল পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। সেখানেই ১৯৬৫ সালে মুহাদ্দিস হিসেবে যোগদান করেন। সুদীর্ঘ ৫৬ বছর তিনি ছারছীনায় খেদমত করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ছারছীনা দরবার শরীফের মসজিদের ইমাম ও খতীব হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমীর ছিলেন।

 

তিনি ছারছীনা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুল আলম আল্লামা নেছারুদ্দিন আহমদ (রহঃ)এর হাতে প্রথম বয়াত গ্রহণ করেন- তারপর মুজাদ্দিদে সূফী আবু জাফর মেসাহাম্মাদ ছালেহ (রহ:) এর হাতে তাজদিদী বয়াত গ্রহণ করেন এরপর বর্তমান হযরত পীর ছাহেব কেবলার হাতে তাজদিদী বয়াত গ্রহণ করেন। তাঁর আমল, আখলাক, পীরের প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধার কারণে পীর ছাহেব কেবলা তাকে “সূফি সাহেব” উপাধিতে ভূষিত করেন। এরপর থেকেই তিনি সূফি সাহেব হুজুর হিসেবেই খ্যাত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য অগণিত ছাত্র ও ভক্তবৃন্দ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বাদ জোহর ছারছীনা দরবার শরীফে তাঁর নামাজে জানাযা শেষে সকাল ১১ ঘটিকায় তাঁর নিজ বাড়ি মঠবাড়িয়ার সাপলেজায় নামাজে জানাযা ও দাফন অনুষ্ঠিত হয়।

ছারছীনা পীর ছাহেব কেবলার শোক:

ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব এক শোকবার্তায় বলেন- মাওলানা আবদুর রশীদ সূফী সাহেব হুজুর ছারছীনা দরবারের একজন উজ্জল নক্ষত্রতূল্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত শোকাহত ও মর্মাহত তাঁর মৃত্যুতে দরবার শরীফের একটি অপূরণীয় ক্ষতি হলো। যা কোনদিন পূরণ হবার মত নয়। তিনি আমার ওস্তাদও ছিলেন। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত এর সুউচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজনকে ধৈর্য্যধারণ করার তৌফিক দান করেন।

ছারছীনার বড় শাহ ছাহেব হুজুরের শোক:

মাওলানা আবদুর রশীদ সূফী সাহেব হুজুর এর মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত শোকাহত ও মর্মাহত। তিনি আমাদের মুরুব্বী ছিলেন এবং ওস্তাদ সমতূল্য ছিলেন। দরবার শরীফের একনিষ্ঠ খাদেম ছিলেন। তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করি আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের উচ্চ স্থান দান করেন এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।

আমতলী কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীবের শোক:

আমতলী কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা আবু জাফর মোঃ শামসুদ্দোহা এক শোকবানীতে বলেন- মাওলানা আবদুর রশীদ সূফী সাহেব হুজুর আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি ও তাঁর রূহের মাগফিরাতের জন্য আমি দোয়া করি আল্লাহপাক যেন তাকে জান্নাতের উচ্চ স্থান দান করেন। তাঁর আত্মীয় স্বজনকে যেন সবরে ইখতিয়ার তথা ধৈর্য্যধারণ করার তৌফিক দান করেন।”

98 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন