জন্মনিবন্ধনে জটিলতা নিরসনে ইউএনও’র ৭ দফা!
মুনতাসির তাসরিপ, দশমিনা থেকেঃ বর্তমানে জন্মনিবন্ধন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ নানা ঝামেলার মুখোমুখি হচ্ছে। পটুয়াখালীর দশমিনায় যেনো এটি বেড়েই চলেছে। আর এ সমস্যা সমাধানে এবার ০৭ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন নিয়ে যেন ব্যবসার শেষ নেই।
সেবাগ্রহিতার অভিযোগ সেবার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। আছে নামের বানান ভুলের অভিযোগ। সেবাদাতাদের (উদ্যোক্তা বা ইউপি সচিব) অভিযোগ হচ্ছে সাধারণ জনগণ অধৈর্য। তারা হাতে হাতে কাজ চান। সার্ভারের সমস্যা বা অন্য অফিসিয়াল দ্বায়িত্ব তোয়াক্কা করেন না।
এই তাবৎ সমস্যা সমাধানে ০৭ দফা নির্দেশনার প্রতিপালন জরুরি, নামের করণিক ভুল সংশোধন করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকে নিজে আবেদন করবে। অর্থ্যাৎ পিতা মাতার নামের ভুলের ক্ষেত্রে সন্তান নয় বরং পিতা মাতাকেই আবেদন করতে হবে,জন্ম তারিখ সংশোধন এর ক্ষেত্রে মেডিকেল বোর্ডের প্রত্যয়ন নিতে হবে বয়স প্রমানের জন্য অথবা টিকা কার্ড।
কোন ভাবেই এনআইডি/পিএসসি /জেএসসি/এস এস সি বা সমমানের সার্টিফিকেট এর লেখা জন্ম তারিখের সাথে মিল রেখে জন্মনিবন্ধন সনদে লেখা তারিখ সংশোধন করা যাবে না।
তবে এ সকল শিক্ষাগত সার্টিফিকেট ইস্যুর তারিখ যদি প্রথম জন্ম নিবন্ধন সনদের পূর্বের তারিখে ইস্যু হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট এর সাথে মিল রেখে অনুরূপ জন্ম তারিখ সংশোধন করা যাবে, জন্ম সনদ সংশোধন বা প্রথম জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে (জন্ম তারিখ ব্যতীত) যে সকল আবেদন উপজেলা পর্যায়ে অনুমোদন করা প্রয়োজন হয় সে সকল ক্ষেত্রে আবেদন পাবার ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যেই যাচাই বাছাই শেষে অনুমোদন বা নিষ্পত্তি করা হয়, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনলাইন আবেদনের সাথে সংযুক্ত করে দিলেই চলবে।
আবেদনের কোন হার্ডকপি ইউএনও অফিসে জমা দেয়ার প্রয়োজন নেই,দয়া কেউ হার্ড কপি আমার হাতে জমা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। এতে আমার সময় ও মনোযোগ নষ্ট হয়,জন্মতারিখ সংশোধন ব্যতীত কোন আবেদন উপজেলা পর্যায়ে পেন্ডিং নেই,জন্ম তারিখের আবেদন কেস বাই কেস যাচাই করে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে,উপজেলা অফিসে না এসে সংশ্লিষ্ট পরিষদে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।
কোন সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব আমার সাথে কথা বলবেন এবং সর্বশেষ করনীয় ইউনিয়ন পরিষদে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হলে লিখিত অভিযোগ করুন। ইতিপূর্বে সকল লিখিত অভিযোগ তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে।
তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো,আপনি নিজে মোবাইলে / কম্পিউটার এ আবেদন করুন। যেকোন কম্পিউটার দোকান থেকে আবেদন করা যাবে। তারপরে প্রিন্ট করুন-> নিচের সংযুক্ত নমুনা অনুযায়ী ব্যাংকে ফি জমা দিন-> জমা রশিদ ও প্রিন্ট কপি ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিন। এতে বানান ভুলের কোন সম্ভাবনা থাকলোনা। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সুযোগ থাকবেনা, পরিষদের উপর অতিরিক্ত চাপ ও পড়বেনা।
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর