বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০১:১৫ পূর্বাহ্ণ, ১৭ এপ্রিল ২০১৭
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা নিরব হোসেন টুটুল পহেলা বৈশাখে খিচুরি খাওয়ার জন্য মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানায় উপহার হিসেবে ২০ কেজি গরুর মাংস দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় থানার সেকেন্ড অফিসার আবু তাহেরের নির্দেশে নগরীর পোর্টরোড বাজার থেকে এই মাংস বহন করে নিতে আসেন থানার পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল মালেক।
সরেজমিন পোর্টরোড বাজারে গিয়ে দেখা গেছে- টুটুল তার সহযোগিদের নিয়ে পোর্টরোড বাজারে ঢুকে মাংসের দোকানে ২০ কেজি গরুর মাংস থানায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে চলে যান। ৫ মিনিটের মাথায় থানার স্টাফ পুলিশ সদস্য আব্দুল মালেক সেখানে উপস্থিত হন।
ওই সময় কিসের মাংস জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- পহেলা বৈশাখ থানায় খিচুরি খাওয়া উপলক্ষে ২০ কেজি গরুর মাংস টুটুল উপহার হিসেবে দিয়েছেন। এবং এই মাংস নিতে থানার সেকেন্ড অফিসার আবু তাহের তাকে পাঠিয়েছেন বলে তিনি জানান।
তবে মুঠোফোনে নিরব হোসেন টুটুল থানায় উপহার হিসেবে মাংস দেয়ার কথা অস্বীকার করে জানান- থানা থেকে ২০ কেজি গরুর মাংস কিনে দেয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করা হয়। যার কারণে তিনি শুধু তাদের মাংস কিনে দিয়েছেন। তবে টাকা দিয়েছেন থানা কর্তৃপক্ষ।
কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার আবু তাহেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রথমে বাসার জন্য কিনেছেন বলে জানান। পরে আবারও বলেন থানার ব্যারাকে দুপুরে খাবারের জন্য ২০ কেজি গরুর মাংস এনেছেন। তবে টাকাটা দেয়া হয়নি। পরে দিয়ে দেয়া হবে। এসময় টুটুলের দেয়া উপহারের কথা অস্বীকার করে টুটুলকে শুধু কিনে দেয়ার কথা বলেছেন।
এরআগে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও তার ২ সহযোগির ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষ মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের বিরুদ্ধে। বৃৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১টায় নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
দুপুরে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনের জন্য কয়েকটি ইলিশ মাছ কিনতে নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে যান। এসময় তার সাথে দুইজন সঙ্গী ছিলেন। মাছ কিনে ফেরার সময় সাদিক আবদুল্লাহ’র ঘনিস্ট সহযোগী মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল এবং উঠতি ক্যাডার রইস আহম্মেদ মান্নার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী লাঠি-সোটা, ধারালো ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
ওই সময় তাকে সহ দুই সঙ্গী ছাত্রলীগ কর্মী হাসান ও প্রিন্সকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
এই ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন।”