বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ অপরাহ্ণ, ২৫ জুলাই ২০১৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র ২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মেহেদী রনির হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পিরোজপুরের কাউখালীর কৃতি সন্তান মেহেদী রনি ২০১৫ সালের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অধিশাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাতে জানা গেছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৫টি ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। এতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে বাপজানের বায়োস্কোপ চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মেহেদী রনি।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র ছাত্র মেহেদী রনি। মিডিয়ার পোকাটা অনেক আগে থেকেই মাথার ভেতর ছিল আর সেই উপলব্ধি থেকেই ঢাকা ফটোগ্রফিক ইনস্টিটিউট থেকে ক্যামেরার উপর একটি শর্ট কোর্স ও মিডিয়া স্টেশন নামে আর একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পাদনার কোর্স করা। টার্গেট একটাই নাটকের ডিরেক্টার হওয়া। সেই থেকে বিনোদন জগতে পথচলা শুরু জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার ২০১৫ শ্রেষ্ট সম্পাদকের পদক পাওয়া মেহেদী রনির।
মেহেদী রনি পিরোজপুরের কাউখালীতে ১৯৮৭ সালের ২৯ মে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্ম গ্রহন করে। রনির বাবা কাউখালীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহীদুল হক হিরন মা শাহিদা হক বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পিরোজপুর সাংগঠনিক শাখার সাধারন সম্পাদক। দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট রনি।
রনি সম্পাদক হিসেবে পথচলা গাজী রাকায়েত এর পরিচালনায় “তারে বিনা ” নাটকটির মাধ্যমে। নাটকটি ছিল তার প্রথম সম্পাদনা করা নাটক। এসময় গাজী রাকায়েত কাছ থেকে শিখেনেন নাটক সম্পাদনা করার বিভিন্ন কৌশল।
বাপজানের বায়োস্কোপ চলচ্চিত্র টিতে তার যুক্ত হওয়া রনি বলেন ১৮ ডিসেম্বর মুক্তি পায় বাপজানের বায়োস্কোপ। আর আজ সর্বমোট নয়টি শাখায় ন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে “বাপজানের বায়োস্কোপ” এর মধ্যে “ শ্রেষ্ঠ সম্পাদক” এর পুরস্কারটি আমি পেয়েছি। আসলে এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। এই প্রাপ্তির মধ্যদিয়ে দর্শকের কাছে ভাল কাজের দায়বদ্ধতা আরো বেড়ে গেল।