মধ্য পৌষে বিচিত্র এক আচরণ করছে প্রকৃতি। বেশ কয়েক দিন ধরে রাত থেকে পড়ছে ঘন কুয়াশা। এর সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলে পড়ছে শীত। আবার দক্ষিণাঞ্চল অর্থাৎ বরিশালের উপকূলীয় এলাকায় ঝরছে বৃষ্টি।
শীত-বৃষ্টি হলেও জানুয়ারি মাসে বরিশালে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ রয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- জানুয়ারিতে শৈত্যপ্রবাহে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেশি পড়তে পারে। এই দুই অঞ্চলে মাঝারি ধরনের একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এতে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। দেশের অন্যান্য এলাকায় দুই থেকে তিনটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা কমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে নদী অববাহিকায় কুয়াশা বেশি পড়তে পারে। দেশের অনেক এলাকা দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকতে পারে।
এদিকে তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজার, টেকনাফ, কুতুবদিয়া, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, রাঙামাটিসহ দেশের উপকূলীয় এলাকায়। গতকাল সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারে ২৫, টেকনাফে ১৭, কুতুবদিয়ায় এবং চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ ও রাঙামাটিতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টি হয়েছে। এরপর উপকূলীয় এলাকায় কুয়াশার পড়বে। এর সঙ্গে তাপমাত্রাও কমে আসবে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, পশ্চিম ও উত্তরপশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা বাতাসের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে শীত পড়ে থাকে। লঘুচাপের প্রভাবে দক্ষিণের উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। কাল বুধবার থেকে এসব এলাকায় কুয়াশা পড়বে।
এর সঙ্গে সারা দেশেই তাপমাত্রা কমে আসতে পারে। তাপমাত্রা যদি টানা তিন দিন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর কম থাকে, তাহলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।’
শিরোনামOther