বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ০৩ অক্টোবর ২০১৬
জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মকবুল আহমাদ। শনিবার রাতে সংগঠনের মজলিসে শূরার সদস্যদের অধিবেশনে দায়িত্ব নেন তিনি। অতি গোপনীয়তার সঙ্গে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
দলটির আমির নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম মাসুম নতুন আমিরকে শপথ পড়ান বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত দলটি আনুষ্ঠানিক বার্তায় কিছু জানায়নি।
আগের কমিটির মজলিশের শূরার মেয়াদ রয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
মজলিশে শূরার সদস্য গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ডা. আব্দুর রহিম জানান, এখন থেকে মকবুল আহমাদ আর ভারপ্রাপ্ত নন। কয়েক দফায় অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। ভোটে মকবুল আহমাদ জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির হিসেবে বেশি ভোট পেয়েছেন। এখন থেকে তিনিই জামায়াতের আমির। তবে শপথপাঠ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য তিনি করেননি।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটির ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মকবুল। যুদ্বাপরাধে দলটির আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর দলটির আমিরের পদ শূন্য হয়ে যায়। এর কয়েক মাসের মাথায়ই মকবুল আমির পদে আসীন হলেন।
সূত্র জানায়, সারা দেশের রুকনদের ভোটে মকবুল আহমাদ আমির পদে সর্বাধিক ভোট পেয়েছেন। ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল নির্ধারিত হয়।
১০ আগস্ট আমির নির্বাচনের জন্য প্যানেল চূড়ান্ত করে জামায়াতের মজলিসে শূরা। এতে শূরার ২৭৭ জন ভোট দেন। ভোটের হিসাবে চূড়ান্ত প্যানেলে স্থান পান ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান।
দলটির সংবিধান অনুযায়ী, নতুন আমির মজলিসে শূরার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সেক্রেটারি জেনারেলের নাম ঠিক করবেন। এক্ষেত্রে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা .শফিকুর রহমান ভারমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। নইলে নতুন আমিরের পছন্দের পাত্র ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান অথবা নুরুল ইসলাম বুলবুলকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দেখা যেতে পারে। যুদ্ধাপরাধের দায় নেই এমন কাউকেই পূর্নাঙ্গ কমিটিতে জায়গা দেয়া হবে বলে দলটির বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
তবে সেক্রেটারি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমিরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।