জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নবগঠিত চরবোরহান ইউনিয়নের চরশাহজালাল নামক চরে অবস্থিত দক্ষিণ চরশাহজালাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির পাঠদান চলছে। ফলে নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারে না। চর এলাকায় সরকারি-বেসরকারি উদ্দ্যেগে বিদ্যালয় স্থাপন করা হলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপুস্থিতে শিক্ষার মান আশানুরূপ নয়। ফলে চরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে যোগাযোগসহ সকল সমস্যার সমাধান করা একান্ত প্রয়োজন বলে স্থানীয় ভূক্তভোগীদের দাবি।
জানা যায়, উপজেলার মূল ভূখন্ড থেকে সর্ব দক্ষিণে বিচ্ছিন্ন চরশাহজালাল নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় কোন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। চরের মধ্যে দিয়ে অসংখ্য খাল প্রবাহিত হওয়ায় ব্রিজ, কার্লভার্ট ও কোন রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। চরে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নৌকা, ডোঙ্গা ও সাঁতার কেটে চলা করাতে হয়। চরের একমাত্র স্কুলটি নদী তীরবর্তী হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নৌকা কিংবা সাঁতার কেটে স্কুলে আসতে হয়। শুস্ক মৌসুমে স্কুলে আসতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে খালে পানি থাকায় অধিকাংশ ছাত্র শিক্ষক স্কুলে আসতে পারে না।
আবার অনেকে ঝুকি নিয়ে কোমর পরিমান ও তার অধিক পানির মধ্যে দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের জামাকাপড় ও বইপত্র অনেক সময় ভিজে যায়। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকে না বলেই চলে। অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকেও সীমাহীন কষ্টের মধ্যে পাঠদান দিতে হয় বলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন জানান।
এদিকে বিদ্যালয়টি যোগাযোগ বিছিন্ন দূর্গম চরে অবস্থিত হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তারা তদারকি করতে যায় না বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আবুল বশার বলেন, জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে স্কুল চলা কথাটি সত্যি হলেও সাধ্যের মধ্যে থেকে শিক্ষার মান উন্নয়ন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
টাইমস স্পেশাল, পটুয়াখালি