বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: নওগাঁর রাণীনগরে জ্বর-কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে আসা এক যুবককে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বাড়িতে উঠতে দেয়নি গ্রামবাসী। ওই যুবক রাণীনগর উপজেলার কালিগ্রাম ইউপির অলঙ্কারদীঘি গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ওই যুবক করোনা আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করতে তিনটি হাসপাতালে গিয়েছেন তারা। কোনো হাসপাতালেই তার পরীক্ষা করা হয়নি।
ভুক্তভোগী যুবক জানান, তিনি ঢাকায় একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। শনিবার সকালে জ্বর-কাশি নিয়ে গ্রামে যান। ওই সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসী। বাধ্য হয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা জানতে আদমদীঘি হাসপাতালে যান। সেখানে কোনো পরীক্ষা না করেই তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। রাণীনগর হাসপাতাল ও নওগাঁ হাসপাতালে গিয়েও একই ফলাফল পান তিনি। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই যুবকের বাবা বলেন, আমার ছেলেকে কেউ চিকিৎসা দিচ্ছে না। কেউ কাছেও আসছে না। বর্তমানে অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।
ইউপি মেম্বার মোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু বলেন, ছেলেটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন খবর পাওয়ার পর তার পরিবারকে বলেছি মেডিকেল রিপোর্ট আনতে। আক্রান্ত না হলে গ্রামে ঢুকতে সমস্যা নেই। গ্রামবাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
রাণীনগরের ইউএনও মো. আল মামুন বলেন, ওই যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি না জেনেই তাকে গ্রামে ঢুকতে না দেয়া অমানবিক। গ্রামবাসীর এমন কাজ করা উচিত হয়নি।
দেশের খবর