ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নথুল্লাহবাদ ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারসহ ৪জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। সোমবার ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জেলহাজতে পাঠান বিচারক।
বিষয়টি ওই মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সাল খান নিশ্চিত করেন।
একই এলাকার মো. বেল্লাল লস্কর বাদী হয়ে গত বছরের ৯ মে ঝালকাঠির তৎকালীন সদর সাবরেজিষ্টার, আ’লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পিয়ন এনায়েত, স্থানীয় কাওসার ও মারুফসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এ মামলার প্রধান আসামী তৎকালীন সাবরেজিষ্টার নিজেকে রক্ষার জন্য রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলে তদ্বির চালিয়ে ও তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করায় চার্জশীট থেকে তার নাম কাটাতে সক্ষম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে- নথুল্লাহবাদ ইউনিয়নের মোঃ বেল্লাল লস্করকে জোরপূর্বক আটক করে মারধর ও হুমকি দিয়ে সাথে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সাবরেজিষ্টার অফিসে নিয়ে রেভিনিউ ষ্টাম্পে সই-স্বাক্ষর রেখে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় বেল্লাল লস্কর বাদী হয়ে তৎকালীন সদর সাবরেজিষ্টার, আ’লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পিয়ন এনায়েত, স্থানীয় কাওসার ও মারুফসহ ৫জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করেন।
ওই সময় বিচারক ঝালকাঠি থানার ওসিকে তা এজাহার হিসাবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।”
ঝালকাঠি থানার এসআই সরোয়ার হোসেন গত ১০ জানুয়ারি প্রধান আসামী তৎকালীন সাবরেজিষ্টারকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে অপর আসামী সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পিয়ন এনায়েত, স্থানীয় কাওসার ও মারুফসহ ৪জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সোমবার ০৫ মার্চ সোমবার ওই মামলার আসামীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু তা নামঞ্জুর করে বিচারক কবির আহম্মেদ তাদের জেলহাজতে প্রেরণ আদেশ দেন।’’
Other