ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুতের সদর দপ্তর থেকে ১২ লাখ টাকা মূল্যের ১৪টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যে মধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
এছাড়া নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানায়- বছরের শুরু থেকে বিভিন্ন সময় খুলনা থেকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার আনা হয় ঝালকাঠিতে। জেলার চারটি উপজেলা ও ইউনিয়নে ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।
খুলনা থেকে আনা ট্রান্সফরমারগুলো ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সদর দফতরের চত্বরে স্টোর কিপারের দায়িত্বে রাখা হয়। দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন সময় সেখান থেকে ১৪টি ট্রান্সফরমার চুরি করে নেয়।
এসব ট্রান্সফরমার উধাও হওয়ার বিষয়টি গত ২৭ নভেম্বর স্টোর কিপারের নজরে আসে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ২৮ নভেম্বর নলছিটি থানায় ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (প্রশাসন) ইসমত আরা সিনহা বাদী হয়ে মামলা করেন। পাশাপাশি ওইদিন দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
খবর পেয়ে রোববার সকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (অর্থ) মো. শাহ আলম ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সদর দফতরে আসেন। তিনি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ বিষয়ে তদন্ত করেন।
কী কারণে এবং কারা এই ট্রান্সফরমারগুলো চুরি করেছে, এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।
একটি তদন্ত কমিটির প্রধান সদর উপজেলা আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বরিশালটাইমসকে বলেন, আমাদের সদস্যরা ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সদর দফতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (অর্থ) মো. শাহ আলম বরিশালটাইমসকে বলেন, বিষয়টি জানার জন্য ঘটনাস্থলে আমাকে পাঠানো হয়েছে।
আমি এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শিরোনামঝালকাঠির খবর