ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য ও যুব মহিলালীগ নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকার বিরুদ্ধে তার দলবল নিয়ে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় শিশুসহ আহত হয়েছে ২ জন। তবে এ ঘটনাকে সাজানো দাবি করেছেন যুবলীগ নেত্রী।’
সোমবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহরের মধ্য চাঁদকাঠির রূপনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে যুব মহিলা লীগ নেত্রী তার দলবল নিয়ে এলাকা ছাড়েন।
ঝালকাঠি পৌরসভার ২ নম্বর চাঁদকাঠি ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুব নেতা হাফিজ আল মাহমুদ বলেন- যুবলীগ নেত্রী কেকার নেতৃত্বে দরিদ্র শ্রমজীবী জয়নাল হোসেনের ঘর বাড়িতে ভাঙচুর কারা হয়। প্রতিবেশির সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল ওই বক্তির।
সেই প্রতিবেশির পক্ষ নিয়ে যুব নেত্রী কৃষকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। ওই নারী নেত্রী একের পর এক এভাবে বিতর্কিত কর্মকান্ড করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আসছে।
সর্বাপরি দরিদ্র ব্যক্তির বাড়িতে হামলার ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় উল্লেখ করে কাউন্সিলর বলেন- এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে প্রশাসনের কাছে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ দাবি করছি।’
জয়নাল হোসেন জানান- কেকা আপার নেতৃত্বে মিলনসহ এক একদল নারী ও যুবক আমার ঘরে ভাঙচুর করে। এতে বাঁধা দিলে আমাদের মারধর করে তাঁরা। আমার মা রাশিদা বেগম ও ছেলে জিসান (৫) গুরুতর আহত হয়।
তাঁদের ঝালকাঠি হাসপালাতে ভর্তি করা হয়েছে বলেন জয়নাল হোসেন।
ঘটনাস্থল পরির্দশন করে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার হোসেন বরিশালটাইমসকে বলেন- ঘটনাস্থলে গিয়ে আমারা হামলাকারীদের কাউকে পাইনি। এ ঘটনায় কারা জড়িত তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য বরিশাল যুব মহিলা লীগ সভানেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকা বলেন- হামলার ঘটনাটি সম্পূর্ন সাজানো। জয়নালদের সাথে জমি নিয়ে আমার যুব মহিলা লীগেরে সদস্য রুনাদের সাথে বিরোধ চলছিল।’’
বিয়ষটি নিয়ে আমি মধ্যস্ততা করে এক বার মিমাংসা করে দেই। কিন্তু পরে কাউন্সিলর হাফিজ নিজে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে জয়নালদের পক্ষ নিয়ে অবৈধভাবে রুনাদের জমি দখল করার পায়তারা করেন। তারই অংশ হিসেবে কাউন্সিলর হাফিজের নির্দেশে জয়নালরা নিজেদের ঘর ভাঙচুর করে এ মিথ্যা নটক সাজিয়েছে বলেনও দাবি করেন ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য ও বরিশাল যুব মহিলা লীগ সভানেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকা।’’
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, ঝালকাঠির খবর, টাইমস স্পেশাল