স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় সদর উপজেলার নবগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে আটক করে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গছে, ২০১৭ সালের ১৯ মে সদর উপজেলার গুয়াটন গ্রামের এরাকুর রহমান তালুকদারের মেয়ে লামিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন গোয়ালকান্দা গ্রামের আকতারুজ্জামান খানের ছেলে ও স্কুলশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। বিয়ের সময় প্রায় ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্রসহ তুলে দেয়া হয়।
এর কিছুদিন যেতে না যেতেই কয়েকদিনের মধ্যেই মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২ লাখ টাকা চেয়ে তার স্ত্রীকে মানসিক চাপ দেন জাহিদুল ইসলাম। লামিয়া আক্তার ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এনিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক বসলেও নিজের সিদ্ধান্তে জাহিদ অটল থাকে।
এরপর জাহিদ ও তার বাবার বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন লামিয়া। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জরি করলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
ঝালকাঠির খবর