ঝালকাঠি শহরে স্বামীর পরিবারের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন গর্ভবতী চিকিৎসক তানজিনা আফরোজ তমা ও তার স্বামী চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান। আহত চিকিৎসক তানজিনা আফরোজ তমা গোপালগঞ্জ ও চিকিৎসক মেহেদী হাসান সাগর ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত।
চিকিৎসক মেহেদী হাসান জানান, তিন দিন পুর্বে তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত (জীবন বীমা কর্পোরেশন) জাহাঙ্গীর কবির মারা যান। এরপর খবর পেয়ে তার চিকিৎসক স্ত্রী’কে নিয়ে ঝালকাঠি শহরের সরকারি মহিলা কলেজের সামনে নিজ বাড়ীতে আসে। গত শনিবার বাবার নামে মিলাদ-দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
তখন অনেক লোকজন ছিল লোকজন বিদায় হওয়ার পর নিজেদের মাঝে কথা কাটাকাটি হলে রাতেই তার মা মিটিয়ে দেয়। রোববার দুপুর ১ টার দিকে চিকিৎসক তানজিনা ও চিকিৎসক স্বামী মেহেদী হাসান সাগর এক রুমে বসে নিজেদের ভিতর আলাপ কালে হঠাৎ চিকিৎসক মেহেদী হাসান সাগরের বোন সুখী বেগম, তার স্বামী করিম ও মামতে বোন লাকী বেগম একত্রিত হয়ে চিকিৎসক তানজিনা তমা ও সাগরকে বাসা থেকে বের হতে বলে।
তখন সাগর বলে নিজ পিতৃালয় ছেড়ে কেন যাবেন এ সময় কথা কাটি হলে এক পর্যায়ে সুখী বেগম (ডা. তমার ননদ) চিকিৎসক তমা’র চুল ধরে মারধর করে ও তলপেটে লাঠি মারলে তিনি তিন মাসের গর্ভবতী হওয়ায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। চিকিৎসক মেহেদী সাগর বাঁধা দিলে তাকে অন্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাগরকে মারধর করে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর ঝালকাঠি থানা পুলিশ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসআই দেলোয়ার পরিদর্শন এসে চিকিৎসক দম্পত্ত্বিদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত চিকিৎসক দম্পত্ত্বিদের বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদে পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের বাসার ভিতরে যেতে বাধা দেয়।
অপরদিকে আহত চিকিৎসক এর মা জানান, তিন বছর যাবত তার চিকিৎসক ছেলে তাদের কাছে ছিল না তিনদিন পুর্বে ওর বাবা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় আসে রোববার জমি-জমা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কারন তার বড় মেয়ে সুখী বেগম কেন বাবার বাড়িতে থাকে আর অন্য কিছু নয়।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, আটকের কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে চিকিৎসক দম্পতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
ঝালকাঠির খবর