ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় কৃষি ও রবি ফসল রক্ষার্থে স্বেচ্ছাশ্রমে একটি খালের ওপর বাঁধ নির্মাণ করছেন দশ গ্রামের কৃষকরা। বিষখালী নদীর সংযোগ কুচয়া ডালির খালে এ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। দুই শতাধিক কৃষক ও তাদের পরিবারের লোকজন দুইদিন ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন।
কৃষকরা জানিয়েছেন, কাঁঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের দশটি গ্রামের শত শত একর ফসলি জমি সামান্য জোয়ারে খালটি থেকে পানি উঠে তলিয়ে যেত। পানি জমে ক্ষেতের পাকা আমন ও রবি শস্য নষ্ট হয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়তেন। পানি ঢুকে পড়তো বসতঘরেও।
এমনিতেই বেড়িবাঁধ না থাকায় ফসলের ক্ষেতে ও বসতঘরে বিষখালী নদীর চারপাশ থেকে পানি ওঠে। তার ওপরে কচুয়া ডালির খালের অতিরিক্ত পানি কৃষকের বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো কর্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দশ গ্রামের কৃষকরা মিলে সোমবার সকাল থেকে খালটিতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। নিজেরা দুই লাখ টাকা টাকা চাঁদা তুলে এ বাঁধ নির্মাণ করছেন কৃষকরা।
১৬০ ফুট প্রশস্ত ও ২০ ফুট গভীরতার এ খালের বাঁধ নির্মাণ কাজে চাষীদের জমি থেকে ট্রাকে করে মাটি এনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. নাজির হোসেন বরিশালটাইমসকে জানান, এ খালের কারণে প্রতি বছর শত শত একর জমির ফসল নষ্ট হয়। যে কারণে কয়েক গ্রামের মানুষ একত্রিক হয়ে নিজস্ব চাঁদার বিনিময়ে এ বাঁধ নির্মাণ করছে।
শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহামুদ হোসেন রিপন বরিশালটাইমসকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিষখালী ফোল্ডার-৫ এর আওতায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও স্লুইসগেট (ক্লোজান) প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় কয়েকটি গ্রামের কৃষি জমির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদ বিশেষ ব্যবস্থায় এ বাঁধ নির্মাণ করার কাজ শুরু হয়েছে।
শিরোনামঝালকাঠির খবর