অবশেষে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের মানপাশা বাজারের নৈশ প্রহরী হারুন সরদার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী মো. সাইদুল হাওলাদারকে আটক করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সরোয়ার। সাইদুল হাওলাদার বিনয়কাঠি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল রব হাওলাদারের পুত্র।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে বিনয়কাঠি কলেজের সামনে থেকে হারুন হত্যা মামলার ১ নং এজাহারভুক্ত আসামী সাইদুলকে আটক করে পুলিশ। তাকে আটকের সময় সাইদুলের সমর্থিতদের সাথে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সরোয়ারের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এতে এসআই সরোয়ার আহত হয়।
সরোয়ারের মোবাইল সেটটি হারিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে বিনয়কাঠি’র চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম খানের কাছে হস্তান্তর করেন। অফিযোগে জানাযায়, ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত ১১ টা থেকে পরদিন ১৪ ডিসেম্বর ভোর ৬ টার মধ্যে যে কোন সময় এলাকার চিহ্নিত মাদক স¤্রাট, জুয়ারী যুবলীগ নেতা সাইদুলসহ এজাহারভুক্ত অন্যান্য ৫ জন আসামী রাত-দিন মানপাশা বাজারসহ আশ-পাশ এলাকায় তাদের অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল।
এ সমস্ত কার্যকলাপে বাঁধা হয়ে দাড়ায় নৈশ প্রহরী হারুন সরদারভ। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী মানপাশা বাজারের নৈশ প্রহরী হারুন সরদারকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচ্ষ্টো করে। প্রথমে ইউডি মামলা হলে এলাকাবাসী মানবন্ধনসহ বিচারের দাবীতে আন্দোলন করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. মজিবর রহমান সরদার বাদী হয়ে সাইদুলসহ ৫জনকে আসামী করে ঝালকাঠি সদর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সরোয়ার জানান, গ্রেফতার হওয়া সাইদুলকে আদালতে প্রেরন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। সাইদুল আটক হওয়ায় এলাকায় স্বস্থি বিরাজ করছে আর তার সহযোগীরা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে আটককৃত সাইদুল তার স্ত্রী’র দায়ের করা মামলায় জেল খেটে ছিল।
স্থানীয়রা জানান- হত্যা মামলার আসামী সাইদুল শাসক দলের যুবলীগের নেতা হওয়ায় মানপাশা বাজারে তার রয়েছে বিশাল বাহিনী যে বাহিনী সর্বনাশা মাদক ইয়াবাসহ গাঁজা বিকিকিনির সাথে জড়িত। উল্লেখ্য- দুইদিন পুর্বে মাদকসহগ্রেফতার হলেও পুলিশের সাথে রফাদফায় মুক্তি পায় পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে পুলিশ ।
ঝালকাঠির খবর