বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০১:৩৬ অপরাহ্ণ, ০৪ এপ্রিল ২০১৭
সংখ্যালঘু এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঝালকাঠি আদালতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আদালত মামলাটি সদর থানায় এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে থানা পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন, জানান বাদীর আইনজীবী মানিক আচার্য্য।
এক রাতে শিক্ষকের সাথে ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা ও জখম করার ঘটনায় শিক্ষকের পর ব্যবসায়ী উত্তম দাস বাদী হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র বিচারিক আদালতে মঙ্গলবার সকালে এ মামলাটি দায়ের করেছেন।
এই মামলায় ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খানসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অপর অভিযুক্তরা হলেন- জেলা শহরের পালবাড়ি এলাকার বাশার, টিএন্ডটি সড়কের র্যাভেন মোল্লা, সিটিপার্ক এলাকার মিলন, রুনসী গ্রামের বাবুল এবং স্বাধীন।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী মানিক আচার্য্য আরও জানান- গত ২৭ মার্চ মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান তার দলবল নিয়ে নিজ এলাকা কীর্ত্তিপাশা বাজারের ব্যবসায়ী উত্তম দাসকে তার দোকানে ঢুকে হামলা চালায়। চেয়ারম্যানসহ আসামীরা মাংস কাটা ছ্যানা দিয়ে কুপিয়ে ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যার উদ্দেশে জখম করেন।’
এছাড়া উত্তমের দোকানের ক্যাশ থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা ও গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনও ছিটিয়ে নেয়।
দন্ডবিধির- ১৪৩/৪৪৮/৪৪৯/৩৪২/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৫৪/৫০৬ ধারায় অভিযোগটি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শককে (ওসি) মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।
খুড়িয়ে খুড়িয়ে আদালতে মামলা করতে এসে ব্যবসায়ী উত্তম দাস সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে জখম করার পর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেয়ারম্যান নিজের গাড়িতে করে আমাকে থানায় ধরে নিয়ে যান। এ সময় আমার মাথায় ও পিঠে জখম বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত যখম দেখে থানা থেকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে একটু সুস্থ হয়ে আদালতে এসেছি। এসময় ক্ষোভের সাথে উত্তম আরও বলেন- ওনাদের অনেক পয়সা আছে। পয়সা দিয়ে অনেক কিছুই কিনকে পারেন তারা।
ওনারা মিমাংসার জন্য বিভিন্নভাবে এখন প্রস্তাব দিচ্ছে, কিন্তু না।
আমি এই ঘটনার বিচার চাই, বলেন উত্তম দাস।
গত ২৭ মার্চ একই রাতে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের গোবিন্দ ধবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ হাওলাদারকে ঝালকাঠি শহর থেকে ধরে নিয়ে যান চেয়ারম্যান সুলতান ও তার সহযোগিরা।
চেয়ার্যানের নিজ এলাকা কীর্ত্তিপাশা বাজারে ব্যবসায়ী উত্তমের দোকানের সামনে গাড়ি থামিয়ে উত্তমের দোকনে ঢুকে উত্তমকে জখম করা হয়। এসয়ম গাড়ি থেকে নামিয়ে শিক্ষক লতিফের হাত-পা ভেঙে আহত করা হয়।
এ ঘটনায় এর আগে শিক্ষক লতিফ বাদী হয়ে গত রোববার দুপুরে ১৪৩, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬ ও ৩০৭ ধারায় (মা.নং-১) চেয়ারম্যান সুলতানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।”