ঝিনাইদহের জেলা কমান্ড্যান্ট আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: আনসার-ভিডিপির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্নিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ০১ অক্টোবর পূজা অনুষ্ঠিত দায়িত্ব পালনের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২শত টাকা করে প্রত্যেক আনসার সদস্যের কাছ থেকে আদায় করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি দায়িত্বে রয়েছেন আনসার সদস্যরা। এই দুর্নীতির সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের দলনেতা এবং একাধিক ভিডিপি সদস্য জড়িত বলে জানা গেছে।
চাহিদামতো ঘুষ না দেওয়ায় আগে পূজায় দায়িত্ব পালনকারী অনেক সদস্য এবার বাদ পড়েছেন। এই অভিযোগ করেছেন পূজায় ডিউটি না পাওয়ায় আনসার সদস্যরা।
প্রশিক্ষণবিহীন লোক নিয়োগ করে পূজায় মোতায়েন করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। পূজায় মোতায়েনকৃত আনসার সদস্য এক মহিলার সাথে শ্লীলতাহানি ঘটনা ও ঘটান।
পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গেলে জেলা কমান্ড্যান্ট আশিকুজ্জামান পুলিশ সুপারকে বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। জেলা কমান্ড্যান্ট আশিকুজ্জামান বিষয়টি রেঞ্জ কমান্ড্যান্ট, সদর দপ্তর ও অবগত করেনি।
এই দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা এর আগে সদর দপ্তরে এডি মনিটরিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেখানেও রয়েছে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। অংগিভূত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে করতেন ব্লক ও অফার বানিজ্য।
১৪ আনসার ব্যাটালিয়নে কর্মরত বাবার বয়সি এক এপিসিকে মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে। জেলা কমান্ড্যান্ট এর কার্যালয় সংযুক্ত ২ জন মহিলা আনসার দিয়ে কাজের লোকের মত বাসার সকল ব্যক্তিগত কাজ করান তিনি।
অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পছন্দের সংস্থায় বদলি করান তিনি। সরকারী বরাদ্দ হাতিয়ে নেওয়ায় রয়েছে অভিযোগ। এক আনসার সদস্য জানান, সঠিক তদন্ত করা হলে আরো অনেক দুর্নীতি বের হয়ে আসবে।
দেশের খবর