টিপকাণ্ড: চাকরি ফিরে পেতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেই কনস্টেবল রাস্তায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে এবার রাস্তায় নেমেছেন। নাজমুলের দাবি ও আন্দোলনে সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ও দেড় মাস বয়সী শিশুসন্তানও।
ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল এসপি রহিমা আক্তার লাকীসহ ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দারেরও বিচার চান তারা।
আলোচিত ওই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তার সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ যদি থাকে সেটিও প্রচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার লিখে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এসব দাবি জানান কনস্টেবল নাজমুল।
সেদিনের পুরো ঘটনা তুলে ধরে অশ্রুশিক্ত নাজমুল বলেন, আমি সেদিন বাসা থেকে সকাল ৮টার দিকে বের হয়েছিলাম। সেজান পয়েন্ট হয়ে আনন্দ সিনেমা হলের রাস্তার দিকে যাওয়ার জন্য আসছিলাম। সেদিন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা ছিল বলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। এজন্য আমি উল্টো রাস্তা দিয়ে আসছিলাম।
এটি আমার অপরাধ হয়েছে। তবে ‘টিপ পরেছ কেন’ আমি এ ধরনের কোনো কথা লতা সমাদ্দারকে বলিনি। তিনি ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এ অভিযোগ তুলেছেন। ওই ঘটনার প্রমাণ প্রসঙ্গে নাজমুল বলেন, তদন্ত কমিটি প্রথম রিপোর্ট দেয় যে, টিপ বিষয়ে কটূক্তির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পরে যখন বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে, তখন অ্যাডিশনাল এসপি রহিমা আক্তার লাকী স্যার লিখেছেন, মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় পথে লতা সমাদ্দারের সঙ্গে অরুচিকর শব্দ ব্যবহার করলে বাগ্বিত-ার ঘটনার ভিডিওটি মিডিয়ায় প্রচার হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়।
অথচ ঘটনাস্থলে আমি যে বাইকে যাচ্ছি, সেটি দেখা গেছে। তাতে তো প্রমাণ হয় না যে, আমি অপরাধী। তিনি বলেন, আমার পরিবারে আমিই একমাত্র উপার্জনকারী। গত ১১ আগস্ট আমাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এত দিন সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় আমি রাস্তায় দাঁড়াইনি। এখন আমি সাধারণ নাগরিক তাই রাস্তায় নেমেছি। চাকরি হারিয়ে আমি দুই সন্তান, স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। অবিলম্বে চাকরি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাও করেন তিনি।
জাতীয় খবর