৪ ঘণ্টা আগের আপডেট সকাল ৫:৪৩ ; মঙ্গলবার ; মার্চ ২১, ২০২৩
EN Download App
Youtube google+ twitter facebook
×

ডাকাত আতঙ্কে মনপুরার জেলেরা

Mahadi Hasan
১:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩

ডাকাত আতঙ্কে মনপুরার জেলেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভোলার মনপুরার মেঘনা নদীতে জলদস্যু ও ডাকাতের ভয়ে শঙ্কিত জেলেরা। মেঘনার বুকে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালিয়ে জেলেদের কাছ থেকে লুট করা হয় জাল, নৌকা ও মাছ।

ডাকাতি শেষে অনেক ক্ষেত্রে মাঝিদের অপহরণ করে দাবি করা হয় মুক্তিপণ। সব মিলিয়ে জলদস্যু যন্ত্রণায় মেঘনা হয়ে উঠেছে আতঙ্কের এক নাম। অন্যদিকে প্রশাসনের দাবি দস্যু দমনে সক্রিয় রয়েছেন তারা।

জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত মনপুরার মাঝের ঘাটের জসিম মাঝি পচাকোড়ালিয়া সাইফুল মাঝি ও বাচ্চু মাঝির ট্রলারে মেঘনা নদীতে জালপাতা অবস্থা হামলা চালায় জলদস্যুরা। পরে মাথাপিছু ৭৫ হাজার টাকা মুক্তিপণে ফিরে আসেন তারা।

গত চার মাসে মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত ১০টি ডাকাতির ঘটনায় ১০ জেলে অপহরণসহ লুট হয়েছে অন্তত ১৫টি ট্রলার। মুক্তিপণ দিয়ে জেলে এবং ট্রলার উদ্ধার করা গেলেও কাটেনি শঙ্কা।

আহত জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করেই হানা দেয় জলদস্যুরা। ট্রলারে চেপে হুট করে উদয় হয়ে মাছ ধরার নদীতে উঠে আসে দস্যু দল।

এরপর জেলেদের মারধর ও কুপিয়ে জখম করে সব জাল ও মালামাল লুট করে মাঝি ও ভাগিদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেঘনার বেশিরভাগ জলদস্যুরা নোয়াখালী জেলা হাতিয়া উপজেলার বলে জানান জেলেরা।

অপহৃত জেলেদের কাছ থেকে আরও জানা যায়, ডাকাত দলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কার্ড করে আনতে হয়।

যাদের কার্ড করা হয়নি তাদের ওপর আক্রমণ চলতেই থাকে। মূলত হাতিয়া উপজেলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্পের পাশে ডাকাত দলের আস্তানা। নদী থেকে জিম্মি করে সেখানে নিয়ে অপহৃত জেলেদের বন্দি করে রাখা হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে কিছু জানালে খুন করে ফেলা হয় বলে বেশিরভাগ ভুক্তভোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজন স্থানীয় পুলিশকে কিছু জানান না। তাদের অভিযোগ, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল না থাকায় ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মনপুরায় বিশেষ করে হাতিয়া উপজেলা মহিউদ্দিন ও রুবেন নামে দুজন ডাকাত প্রধান মনপুরার জেলেদের অমানবিক নির্যাতন করে থাকে। জেলেদের জিম্মি করে নিজ বসতবাড়ি হাতিয়ার তমরুদ্দি কোড়ালিয়া নিয়ে আটকে রাখে। মুক্তিপণ পেলেই ফিরে আসেন জেলেরা।

তাদের রয়েছে বিশাল দুই বাহিনী। মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন রাত ৫-৬টি ট্রলার নিয়ে মনপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জেলের ওপর আক্রমণ করে থাকে তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলেরা জানান, হাতিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে জলদস্যুদের আস্তানা রয়েছে, সেখান থেকেই দস্যুরা ডাকাতির পরিকল্পনা করে মনপুরাসহ অন্য জেলা থেকে আসা জেলেদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

জেলে দুলাল মাঝি, টিটব মাঝি, ইসমাইল মাঝি, বসির মাঝি বলেন, রাতের বেলায় দস্যুদের আনাগোনা বেশি, তাই রাতে মাছ শিকার করতে যাই না, দিনের বেলায় গিয়ে সন্ধ্যার দিকে ঘাটে ফিরে আসি।

এখন প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের জন্য নিরাপদ হবে না বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে হাতিয়া নিঝুমদ্বীপ নৌ-পুলিশের দায়িত্বে থাকা এসআই কাউসার আলম বলেন, জলদস্যু দমনে আমরা নিয়মিত মেঘনা নদীতে টহল জোরদার করছি।

সেই সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারি করে ডাকাত দলের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মনপুরা কোস্ট গার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার আলমগীর হোসেন বলেন, ডাকাত দমনে কোস্ট গার্ড সক্রিয় রয়েছে।

মনপুরা থানার ওসি সাউদ আহম্মেদ বলেন, প্রতিটি অভিযোগ যদি জেলেরা প্রশাসনকে অবগত করেন তাহলে যাচাই-বাছাই করে ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করা সম্ভব হয়। তবে সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে মেঘনা নদীকে ডাকাতমুক্ত করার চেষ্টা চলমান রয়েছে।

ভোলার মনপুরার মেঘনা নদীতে জলদস্যু ও ডাকাতের ভয়ে শঙ্কিত জেলেরা। মেঘনার বুকে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালিয়ে জেলেদের কাছ থেকে লুট করা হয় জাল, নৌকা ও মাছ। ডাকাতি শেষে অনেক ক্ষেত্রে মাঝিদের অপহরণ করে দাবি করা হয় মুক্তিপণ। সব মিলিয়ে জলদস্যু যন্ত্রণায় মেঘনা হয়ে উঠেছে আতঙ্কের এক নাম। অন্যদিকে প্রশাসনের দাবি দস্যু দমনে সক্রিয় রয়েছেন তারা।

জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত মনপুরার মাঝের ঘাটের জসিম মাঝি পচাকোড়ালিয়া সাইফুল মাঝি ও বাচ্চু মাঝির ট্রলারে মেঘনা নদীতে জালপাতা অবস্থা হামলা চালায় জলদস্যুরা। পরে মাথাপিছু ৭৫ হাজার টাকা মুক্তিপণে ফিরে আসেন তারা। গত চার মাসে মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত ১০টি ডাকাতির ঘটনায় ১০ জেলে অপহরণসহ লুট হয়েছে অন্তত ১৫টি ট্রলার। মুক্তিপণ দিয়ে জেলে এবং ট্রলার উদ্ধার করা গেলেও কাটেনি শঙ্কা।

আহত জেলেদের কাছ থেকে জানা যায়, মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করেই হানা দেয় জলদস্যুরা। ট্রলারে চেপে হুট করে উদয় হয়ে মাছ ধরার নদীতে উঠে আসে দস্যু দল। এরপর জেলেদের মারধর ও কুপিয়ে জখম করে সব জাল ও মালামাল লুট করে মাঝি ও ভাগিদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেঘনার বেশিরভাগ জলদস্যুরা নোয়াখালী জেলা হাতিয়া উপজেলার বলে জানান জেলেরা।

অপহৃত জেলেদের কাছ থেকে আরও জানা যায়, ডাকাত দলের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে কার্ড করে আনতে হয়। যাদের কার্ড করা হয়নি তাদের ওপর আক্রমণ চলতেই থাকে। মূলত হাতিয়া উপজেলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ক্যাম্পের পাশে ডাকাত দলের আস্তানা। নদী থেকে জিম্মি করে সেখানে নিয়ে অপহৃত জেলেদের বন্দি করে রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে কিছু জানালে খুন করে ফেলা হয় বলে বেশিরভাগ ভুক্তভোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজন স্থানীয় পুলিশকে কিছু জানান না। তাদের অভিযোগ, পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল না থাকায় ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মনপুরায় বিশেষ করে হাতিয়া উপজেলা মহিউদ্দিন ও রুবেন নামে দুজন ডাকাত প্রধান মনপুরার জেলেদের অমানবিক নির্যাতন করে থাকে। জেলেদের জিম্মি করে নিজ বসতবাড়ি হাতিয়ার তমরুদ্দি কোড়ালিয়া নিয়ে আটকে রাখে। মুক্তিপণ পেলেই ফিরে আসেন জেলেরা। তাদের রয়েছে বিশাল দুই বাহিনী। মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিদিন রাত ৫-৬টি ট্রলার নিয়ে মনপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জেলের ওপর আক্রমণ করে থাকে তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলেরা জানান, হাতিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে জলদস্যুদের আস্তানা রয়েছে, সেখান থেকেই দস্যুরা ডাকাতির পরিকল্পনা করে মনপুরাসহ অন্য জেলা থেকে আসা জেলেদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

জেলে দুলাল মাঝি, টিটব মাঝি, ইসমাইল মাঝি, বসির মাঝি বলেন, রাতের বেলায় দস্যুদের আনাগোনা বেশি, তাই রাতে মাছ শিকার করতে যাই না, দিনের বেলায় গিয়ে সন্ধ্যার দিকে ঘাটে ফিরে আসি। এখন প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের জন্য নিরাপদ হবে না বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে হাতিয়া নিঝুমদ্বীপ নৌ-পুলিশের দায়িত্বে থাকা এসআই কাউসার আলম বলেন, জলদস্যু দমনে আমরা নিয়মিত মেঘনা নদীতে টহল জোরদার করছি। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা নজরদারি করে ডাকাত দলের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মনপুরা কোস্ট গার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার আলমগীর হোসেন বলেন, ডাকাত দমনে কোস্ট গার্ড সক্রিয় রয়েছে।

মনপুরা থানার ওসি সাউদ আহম্মেদ বলেন, প্রতিটি অভিযোগ যদি জেলেরা প্রশাসনকে অবগত করেন তাহলে যাচাই-বাছাই করে ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করা সম্ভব হয়। তবে সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে মেঘনা নদীকে ডাকাতমুক্ত করার চেষ্টা চলমান রয়েছে।

বিভাগের খবর, ভোলা

আপনার মতামত লিখুন :

 
এই বিভাগের অারও সংবাদ
ভারপ্রাপ্ত-সম্পাদকঃ শাকিব বিপ্লব
© কপিরাইট বরিশালটাইমস ২০১২-২০১৮ | বরিশালটাইমস.কম
বরিশালটাইমস মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
ইসরাফিল ভিলা (তৃতীয় তলা), ফলপট্টি রোড, বরিশাল ৮২০০।
ফোন: +৮৮০২৪৭৮৮৩০৫৪৫, মোবাইল: ০১৮৭৬৮৩৪৭৫৪
ই-মেইল: [email protected], [email protected]
© কপিরাইট বরিশালটাইমস ২০১২-২০১৮
টপ
  প্রধান তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন পটুয়াখালীর সন্তান ড. আবদুল মালেক  রাত ১টায় লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি টিসিবির পণ্য!  বরিশালসহ ৮ বিভাগে ঝড়োহাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস  বরগুনায় বাবা প্রধান শিক্ষক ছেলে সভাপতি  শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপে শিক্ষাখাত এখন উন্নত-সমৃদ্ধ: এমপি শাওন  দুমকিতে শিশু বলাৎকার, ঘটনা আড়ালের চেষ্টা  রোজার আগেই কমলো সোনার দাম, রাত পোহালেই কার্যকর  বারবার শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা শাকিব খানের!  চলন্ত প্রাইভেটকারের উপর ভেঙে পড়ল গাছ  ৬৪০ টাকা কেজিতে মিলবে গরুর মাংস