১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

ডাবল সেঞ্চুরিতে গরিবের ‘পাঙ্গাশ’: মেজাজ হারাচ্ছেন ক্রেতারা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:১৮ অপরাহ্ণ, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা।। ১৩ অক্টোবর থেকে মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। সামুদ্রিক মাছ না থাকায় উপকূলের বিভিন্ন বাজারে দেশি মাছের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ।

সাথে সাথে দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। সবচেয়ে কম দামি মাছ পাঙ্গাসের দাম ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে। ফলে উপকূলের মানুষের নাগালে বাহিরে চলে গেছে মাছের বাজার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাশ ২০০টাকা, চিংড়ি ৮০০-৯০০ টাকা, কোরাল ৮০০-১০০০ টাকা, রুই (ছোট) ২০০ টাকা, কাতল সাইজভেদে ৩০০-৪০০ টাকা, টেংরা ৩৫০-৪০০ টাকা। এছাড়াও সোনালী মুরগী বিক্রি হয় ৩৭০ টাকা ও গরুর গোসত বিক্রি হয় ৭০০ টাকা কেজি দরে।

এ বিষয়ে কথা হয় মাছ বিক্রেতা আলমগীর হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, এর আগেও অনেক সময় প্রকারভেদে বিভিন্ন মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি সময়ে চলছে অবরোধ। তাই মাছের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী হাফিজুর বলেন, উর্ধ্বমুখী বাজার মোটেই পড়তির দিকে নেই। সকল জিনিসপত্রের মূল্যই বৃদ্ধি পেয়েছে একযোগে। ফলে অধিকাংশ ক্রেতারা দাম শুনেই মনঃক্ষুণ্ন হচ্ছেন। কেউ কেউ রাগান্বিত হয়ে চলেও যান মাছ না কিনে।

অপর এক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ সকালে ডাকের (নিলামে) মাধ্যমে আমি চিংড়ি ক্রয় করেছি ৭৫০ টাকা দরে। সারাদিন আমার মজুরি ও আনুষাঙ্গিক খরচ আছে সে হিসেবে আমাকে কখনো ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়। বাজারে মাছ না থাকায় দামটা একটু বেশি বাড়তির দিকে।

মাছ কিনতে আসা খলিল সিকদার বলেন, আমরা যারা গরিব তাদের চাহিদা থাকে পাঙ্গাশ মাছের দিকে। সেই পাঙ্গাশ মাছ ২০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা লাগছে। আমরা যাবো কোথায়? তার অভিযোগ, সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষজন কোন জিনিসে হাত লাগাতে পারছেন না।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জানান, সারা দেশেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ যাতে অতিরিক্ত মূল্য নিতে না পারে সে বিষয়ে আমাদের নজর থাকবে।

64 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন