৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

তাহলে কি উজিরপুরের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়নও গুম ?

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৪২ অপরাহ্ণ, ২২ নভেম্বর ২০১৭

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজের সাত বছর অতিবাহিত হলেও বরিশালের উজিরপুরের হারতা ই্উনিয়নের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির খান’র আজও সন্ধান মেলেনি।

সে জীবিত আছে নাকি অপহরনের পর হত্যার শিকার হয়েছেন তা আজও জানেনা তার পরিবারের সদস্যরা। মামলা দায়ের’র এতগুলো বছর অতিবাহিত হওয়া সত্যেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোন ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় হতাশ হয়ে পরেছেন স্বজনরা।

নিখোঁজের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের সাবেক এ ইউপি চেয়ারম্যানকে ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছে। এরপর থেকেই তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিখোঁজ ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির খানের ছোট ভাই মঞ্জু খান বাদী হয়ে ওইদিন রামপুরা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী যাহার নং ৯৯৪ এবং পরবর্তীতে ১৩ ডিসেম্বর একই থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। যাহার নং ২৪/৫৩১।

ওই মামলায় উজিরপুরের ওটরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল’কে প্রধান আসামী করা হয়। মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিকেশন (পিবিআই) পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী মঞ্জু খান।

ওই মামলার বাদী মঞ্জু খান অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন উপজেলার ওটরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বর্তমান উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল নিজের অবস্থান পাঁকাপোক্ত ও প্রভাব বিস্তার করতে তার ভাই হুমায়ন কবির খান’কে অপহরনের পর গুম করেছে।

আর এই অভিযোগ তুলে তার (ইকবাল) বিরুদ্ধে সে (মঞ্জু) মামলা দায়ের করায় তাকে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবালের ক্যাডার বাহিনী গত ২৮ অক্টোবর উজিরপুর ডাকবাংলোর সামনে সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ন খান নিখোঁজের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বাদী মঞ্জু খানের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে।

এদিকে সাবেক এ ইউপি চেয়ারম্যান নিখোঁজের ৭ বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত তার পরিবার ও স্বজনরা জানেনা তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কি জুটেছে। কি ঘটেছে তার সাথে।

সে জীবিত আছেন না মারা গেছেন এ প্রশ্নের কোন উত্তর আজও পায়নি তার পরিবার ? তার সন্ধান পেতে নিখোঁজ ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

19 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন