ভারতের মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার বিন্দুগ্রামের রীতা হালদারের সঙ্গে ২০০৫ সালে বিয়ে হয় ওই জেলারই লালগোলা থানার কেষ্টপুর সারাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকারের। তাদের একজন পুত্রসন্তানও রয়েছে।
রীতার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে তার ওপর অমানুসিক নির্যাতন চালানো হতো। একাধিকবার বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে দিয়েছেনও তিনি।
তিনি আরো জানান, বছর তিনেক আগে তার পেটে ব্যথা হয়। তখন স্বামী এবং শাশুড়ি মিলে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে রীতার অ্যাপেন্ডিকস হয়েছে বলে অপারেশন করায়।
তবে তার অভিযোগ, অ্যাপেন্ডিকস অপারেশনের নামে তার কিডনি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কীভাবে কিডনি বিক্রির কথা জানলেন ওই গৃহবধূ? গত বছরের নভেম্বরে একটি নার্সিংহোমে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রীতা। উত্তরবঙ্গ মেডিকেলল কলেজে শারীরিক পরীক্ষার সময়ই তাকে চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের ডানদিকের কিডনিটি নেই।
এ কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন রীতা। পরে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মালদহের একটি নার্সিংহোমে এসে শারীরিক পরীক্ষা করান তিনি। সেখান থেকেও একই কথা বলা হয়।
পরে স্বামী বিশ্বজিৎ সরকার, শাশুড়ি বুলুরাণী সরকার, জা মাধবী সরকারের বিরুদ্ধে ফারাক্কা থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী। কিডনি বিক্রির অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই রীতার স্বামী পলাতক। এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বিশেষ খবর