বরিশাল: সুন্দরবনের ভয়ানক জলদস্যু দুই বাহিনীপ্রধান মো. আব্দুল বারেক তালুকদার ওরফে শান্ত এবং মো. আলম সরদারসহ মোট ১৪ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বরিশাল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খানের হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকারী মো. আব্দুল বারেক তালুকদার শান্তর (৪৮) শান্তবাহিনীর ১০ সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন- মো. মনির হাওলাদার (৪৫), মো. দুলাল মোল্যা ভান্ডারী (৪০), মো. ফরিদ হাওলাদার (২৬), মো. আনিছুর রহমান মোল্যা (৩৫), মো. বশির আহমেদ শেখ (৪৭), মো. ফরিদ গাজী (৩৮), মো. মোস্তফা শেখ (৪৬), মো. নুরুল ইসলাম (৪৪) এবং মো. খোরশেদ শেখ (৫২)। তবে মো. আলম সরদারের (৪) আলমবাহিনীর চার সদস্যর নাম তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেনি র্যাব।
আত্মসমর্পণকারী উভয় বাহিনীর সদস্যরদর বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল এলাকায়।’
বরিশাল র্যাবের উপ-অধিনায় মেজর আদনান কবির জানান- আত্মসমর্পণকালে জলদস্যুরা ৯টি বিদেশি একনালা বন্দুক, ২টি বিদেশি দোনালা বন্দুক, ৫টি .২২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, ২টি ওয়ান শুটার গান এবং ২টি কাটা রাইফেলসহ সর্বমোট ২০টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সর্বমোট ১০০৮ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ জমা দেন।
আত্মসমপর্ণকারী এই জলদস্যুরা দীর্ঘদিন সন্দরবন এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে আসছিলো। এমনকি তারা অপহরণ পরবর্তী চাহিদা অনুযায়ী মুক্তিপণ না জেলেদের মেরে নদীতে ফেলে দেওয়ার উদাহরণ রয়েছে।
এমতাবস্থায় র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্তে রাজি করে। তবে জলদস্যুদের পক্ষ থেকে একটি শর্তজুড়ে দেয়া হয় তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে।
সরকার সেই শর্তে রাজি হওয়ায় এবারে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জলদস্যু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল র্যাব প্রধান লে. কর্নেল ইফতেখার এবং উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির উল্লেখযোগ্য।’
এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে একইভাবে আরও দুইবার জলদস্যু আত্মসমর্পণের উদাহরণ রয়েছে।’
বরিশালের খবর