চরমোনাইর পীর আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, কোরআন-হাদিস অনুযায়ী চলার পথই হচ্ছে চরমোনাইর তরিকা। আখেরাত ছেড়ে দুনিয়ার পেছনে দৌড়ে কোনো লাভ নেই। যারা আখেরাত ছেড়ে দুনিয়ার পেছনে দৌড়ায় তারা কুকুরের সমতুল্য।
তিনি বলেন- সমস্ত নিয়ামত আল্লাহর। যা ছাড়া এক মুহূর্তও চলা যাবে না। দুনিয়ার বাহাদুরি একেবারেই ফাঁকি। এই দুনিয়া আখেরাতের ফসল কামাই করার জায়গা। আখেরাতের জিন্দেগির সময়ের কোনো শেষ নেই।
রোববার (২৬ নভেম্বর) জোহর নামাজের পর চরমোনাইর পীর আলহাজ হজরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল। উদ্বোধনী বয়ানে এসব কথা বলেন তিনি।
চরমোনাইর পীর বলেন- তিনদিন ব্যাপী মাহফিলের প্রথম দিনে শরিয়ত ও দ্বিতীয় দিনে মারেফত এবং শেষ দিনে মাদরাসা ও তরিকা সম্পর্কে বয়ান রাখা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত বিভিন্ন পীর মাশায়েখ আগত মুসুল্লিদের উদ্দেশে বয়ান রাখবেন। চরমোনাইর বার্ষিক ২টি মাহফিলে আল্লাহ ও তার রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জনে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সমূহ শিক্ষা দেয়া হয়। মন্দ স্বভাব পরিহার করে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহকে ভুলে থাকা বান্দারা কিভাবে আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হতে পারে সে পথ বাতলে দেয়াই চরমোনাই মাহফিলের মূল উদ্দেশ।
চরমোনাই আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি জানিয়েছেন- প্রায় ৩ কি. মি. এলাকাজুড়ে প্যান্ডেল করা হয়েছে। মাহফিলের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ১ হাজার মাদরাসার ছাত্র ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রয়েছে।
এছাড়া র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা এখানে দায়িত্বে রয়েছেন। মাহফিল আগত মুসুল্লিদের জন্য মাহফিল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কওমি মাদরাসায় নিচতলায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতাল চালু করেছে।
আগামী বুধবার সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী মাহফিল শেষ হবে।
বরিশালের খবর
