৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ধর্মঘটে অচল বরিশালের নৌ বন্দর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫৮ অপরাহ্ণ, ২৫ আগস্ট ২০১৬

বরিশাল: নৌ-যান শ্রমিকদের ধর্মঘট তৃতীয় দিনের মত অব্যাহত রয়েছে। ফলে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল নৌ-বন্দর।বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে নদী পথে চলাচলকারী মালবাহী কার্গোগুলোও।

তবে বাড়তি পুলিশের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে এমভি সুরভী-৯, সুন্দরবন-৭, পারাবত-৯-১১সহ ৪টি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে এসে নোঙর করেছে। এ লঞ্চ ৪টি আবার যাত্রী নিয়ে সন্ধ্যায় বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে।

ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে নৌ-বন্দরে যাত্রীদের উপস্থিতি ছিলো না বললেই চলে। এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা ট্রলার, স্পিডবোটসহ বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করছেন। তবে এতে তাদের ভোগান্তি বেড়েছে অনেকটা।

বরিশালের চরকাউয়া খেয়াঘাটে ইলিশা যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা যাত্রী কামাল উদ্দীন বলেন, লঞ্চ চলছে না, ট্রলার বা স্পিডবোটে যেতে হলে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে চারগুণ ভাড়া। কীভাবে যাবো সেই চিন্তায় আছি।

এদিকে, সকালে কর্মবিরতিতে থাকা শ্রমিকরা পন্টুন ও কার্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন ও নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল বিভাগীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একিন আলী জানান, নৌ-যান শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকায় উন্নিত করা, নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুনঃনির্ধারণ, নৌ-পথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও ডাকাতি বন্ধ, নদী পথে নাব্যতা ফিরিয়ে আনাসহ বেশকিছু দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এ ধর্মঘট শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে মালিকরা সন্ধ্যার পর ঢাকা বরিশাল রুটে লঞ্চ ছাড়ার ব্যবস্থা করেছেন। ২ লাখ শ্রমিকের মধ্যে কয়েকজন মালিকপক্ষের থাকতেই পারে। তবে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মানা না পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট অব্যাহত রাখবো।

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন মাস্টার বলেন, মালিকদের চাপে পড়ে বা মালিকদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে কেউ কেউ লঞ্চ চালালেও আসলে তারা ধর্মঘটের পক্ষেই রয়েছে।

লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আমাদের বৈঠকে বসার আহ্বান করেছিলেন। কিন্তু আমরা জানিয়ে দিয়েছি সাধ্য অনুযায়ী শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হয়েছে এ কারণে আমরা কর্মবিরতিতে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে বসতে রাজি নই।

তিনি আরও বলেন, দুপুরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে আমরা এ কথা জানাবো, তাতে শ্রমিকরা রাজি হলে কাজে যোগ দেবেন।

পন্টুন এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়ে নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত) মো. আ মোতালেব বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ভোরে ঢাকা থেকে ৪টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরিশালে এসেছে, তাতে কোনো সমস্যা হয়নি।

26 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন