বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে তার চাচার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী। শুধু তাই নয়, মোবাইল ফোনে ধর্ষণের দৃশ্য ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে মিজানুর রহমান নামের ওই যুবক।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিজানকে আটক করেছে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
ধর্ষক মিজানুর রহমান ওই গ্রামের পান মাহামুদের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়েটি অভিযুক্ত মিজানের ভাতিজির বান্ধবী। সেই সূত্রে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল মেয়েটির। কয়েক দিন আগে মেয়েটি তার বান্ধবীর খোঁজে ওই বাড়িতে যায়। এ সময় মিজান বাড়িতে একা থাকার সুযোগে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এরপর ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে মিজান।
পরে মেয়েটি তার এক আত্মীয়কে বিষয়টি জানালে তিনি (আত্মীয়) থানায় ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিজানকে আটক করে।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মিজানুর মেয়েটিকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে একমাত্র আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করে। ধর্ষণের দৃশ্য ধারণকৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
দেশের খবর