ধর্ষণে অভিযুক্ত ছেলের ফাঁসি চাইলেন বাবা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ীন শহরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক শোরগোল চলছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী ওই কন্যা-শিশুটি রক্তাক্ত এবং অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় নানা লোকের কাছে সহায়তা চাচ্ছে। তবে সবাই তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন। খবর বিবিসির।
শেষমেশ দেশটির আশ্রমের এক পুরোহিত ওই কিশোরীকে দেখতে পান। এরপর তিনি নিজের জামা খুলে ওই শিশুটিকে দেন এবং পুলিশে খবর দেন। ভারতীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই শিশুটির শারীরিক অবস্থা দেখে তাকে ইন্দোরের বড় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার সফল অস্ত্রোপচারও হয়েছে।
উজ্জয়ীনের পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট সচিন শর্মা সংবাদ সম্মেলনে জানান, ডাক্তারি পরীক্ষায় শিশুটিকে যে ধর্ষণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে।
আজ শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। শত শত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং সিসিটিভি ফুটেজ ৭০০-এর বেশিবার স্ক্যানের পর এ ধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত ভারত সোনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পেশায় একজন অটো চালক। তিনি ওই কিশোরীকে উজ্জয়ীন রেলওয়ে স্টেশন থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং প্রায় বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে দেন।
এদিকে অভিযুক্তের বাবা রাজু সোনি জানিয়েছেন, ছেলে দোষী হলে তিনি তার ফাঁসি চান। রাজু সোনি বলেছেন, যদি আমার সন্তান নির্যাতিত হতো, তাহলে আমিও একই কথা বলতাম। যারা এধরণের অপরাধ করে, তাদের বাচার কোনো অধিকার নেই। সে আমার সন্তান হোক কিংবা অন্য কারো, তাদের ফাঁসি দেওয়া উচিত। নয়তো গুলি করে মারা উচিত।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি ভারতকে এনিয়ে প্রশ্নও করেন ছেলেকে। যদিও অভিযোগ এড়িয়ে যায় ভারত। রাজুর কথায়, আমি ভারতকে প্রশ্ন করলে উল্টো সে জানতে চায়, এমন ঘটনা কোথায় ঘটেছে। আমি বলি উজ্জয়িনীতে।
আন্তর্জাতিক খবর