১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

নলছিটিতে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০৭ অপরাহ্ণ, ১৯ মার্চ ২০১৭

হঠাৎ করে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ড্রেজার মেশিনে ছেয়ে গেছে ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলা। প্রায় অর্ধশত অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও ভরাট করায় পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে সরকারি নদী-নালা,খাল ও  পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে বাড়িঘর, হাট-বাজার,মসজিদ মাদ্রাসাসহ সরকারি-সরকারী নানা স্থাপনা। উপজেলার সুগন্ধা নদী সংলগ্ন বেশ কয়েকটি স্থান মারাত্মক ভাঙনের ঝুঁকির সস্মুখীন হয়েছে।

এমনকি নলছিটির মূর্তিমান আতঙ্ক বখাটে রেজাউল চৌধুরী বিচারকের দায়ের করা মামলা জেলহাজতে থাকলেও এখনো  তার নামে উপজেলার ডাক বাংলোর সামনে চলছে একটি ড্রেজার মেশিন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান,অর্ধশত বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার প্রতিদিন ১২লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ অবৈধ বালু উত্তোলন করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এলাকাবাসীরা আরো বলেন,উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে টাকা দেয় বালু ব্যবসায়ীরা। নলছিটি থানা পুলিশকে মোট অংকের টাকা দিয়ে এ অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়টিতে তারা বৈধতা পেয়েছে। তাই এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।

ড্রেজার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।  কয়েকজন  ড্রেজার ব্যবসায়ী জানান, প্রতিটি ড্রেজারের জন্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ৩০ হাজার থেকে ৫০হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। এভাবে সবাইকে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তার বলেন,অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

19 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন