নলছিটিতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ঘটনায় এক সালিশ বৈঠক হয়েছে। কুশঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদে শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত তিন বখাটেকে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠবস ও জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ওই তিন বখাটেকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় সালিশ বৈঠকে।
অভিযুক্তরা হলো-কুশঙ্গল ইউনিয়নের সরমহল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে হাসান,সোহরাফ মল্লিকের ছেলে আলামিন মল্লিক ও মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে হাসান হাওলাদার। জানা গেছে,গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সরমহল পুনিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্থানীর এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যালয়ের পেছনে ওঁৎপেতে থাকা ওই তিন বখাটে পথরোধ করে তাকে টেনে হেঁচড়ে পাশ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তার পরনে থাকা বোরকা টেনে ছিড়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বখাটেরা। এ সময় ওই ছাত্রীর ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন টের পেয়ে গেলে তিন বখাটে দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীর পিতা ফুলহরি মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারী মান্নান ব্যাপারী কুশঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় কুশঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ইউপি মেম্বারগণ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই তিন বখাটেকে কান ধরে ওঠবস ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সালিশ বৈঠকে কুশঙ্গল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কাঞ্চন আলী হাওলাদার,হাবিবুর রহমান,সোহরাফ মল্লিক,ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল শাহরিয়ার রোকন,আনসার মল্লিক ও আ’লীগ নেতা শহীদ মল্লিক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান,স্কুলছাত্রীর পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই তিন বখাটেকে অর্থদন্ড ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে।
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, ঝালকাঠির খবর