নাব্যতা সংকটে পড়েছে বাংলার সুয়েজ খালখ্যাত ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেল। ব্যাহত হচ্ছে ঢাকা-খুলনাসহ বিভিন্ন রুটে স্বাভাবিক নৌযান চলাচল। আশংকাজনক নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের সাথে খুলনা, মংলা, মোরেলগঞ্জ, হুলারহাটসহ বিভিন্ন নৌ-বন্দরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে নৌ-পথ নির্ভর দেশের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে উপকূলীয় আঞ্চলের যাতায়াত ব্যাবস্থা এবং অর্থনীতির চাকা অচল হয়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।”
যে কারণে জরুরি ভিত্তিতে চ্যানেলটি খনন করে নৌ-যোগাযোগ ব্যাবস্থা সচল রাখার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালীর সাথে পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদীর সংযোগ ঘটিয়েছে বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের গাবখান চ্যানেল। ব্রিটিশ শাসনামলে ঝালকাঠি অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার নদী খনন করে এ সংযোগ ঘটানোর মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশালের সংগে খুলনা, মংলা, মোরেলগঞ্জ, হুলারহাট সহ গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বন্দরগুলোর দূরত্ব প্রায় দু’শ কিলোমিটার কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু দীর্ঘ্য দিন কার্যকর ড্রেজিং না করায় চ্যানেলটির নাব্যতা আশংকাজনক হ্রাস পেয়েছে। সেই সাথে মোহনাসহ বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর।’’
ফলে এখন এই চ্যানেল দিয়ে ভাটার সময় মাঝারি আকারের নৌ-যানও চলাচল করতে পারে না, অপেক্ষা করতে হয় জোয়ারের জন্য। বড় নৌ-যানগুলো প্রায় দু’শ কিলোমিটার বেশি ঘুরে বঙ্গপসাগর হয়ে চলাচল করে। মাঝারি নৌ-যান গুলোও জোয়ারের সময়ও অত্যন্ত ধীরগতিতে সতর্কতার সাথে এ চ্যানেল অতিক্রম করে।’’
এক প্রান্ত দিয়ে চ্যানেলে নৌ-যান ঢুকলে অন্য প্রান্ত বন্ধ রাখতে হয়। এতে একদিকে যেমন যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে বলে চ্যানেল ব্যবহার কারীরা স্বীকার করেছেন।’’
কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে- এসব সমস্যা সম্পর্কে মোটেও ওয়াকিবহাল নয় বিআইডব্লিউটিএ। এমনকি তাদের কাছে গাবখান চ্যানেলের এ সমস্যা সম্পর্কে কোন অভিযোগও যায়নি। যে কারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না।’’।
তবে জরুরি ভিত্তিতে চ্যানেলটি খনন করে নদী পথ নির্ভর এ অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।’’
শিরোনামঝালকাঠির খবর