নিখোঁজ জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাকলাইন সাজিদকে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে বরিশাল পুলিশ। সেই সাথে ওই বাসা থেকে ভাবনা মালাকার নারী এক বিবাহিত নারীকেও পুলিশ আটক করা হয়।
উদ্ধারের পরে গত শুক্রবার রাতে তাদেরকে বরিশালে নিয়ে আসা হয়। বরিশাল নগরীর বেলাতলা এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমানের ছেলে সাকলাইন ২৯ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই তার বাবা কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সাকলাইন জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেনির প্রভাতী শাখার ছাত্র।
পুলিশ তাদের বরিশালে নিয়ে এসে থানা হেফাজতে রেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার দু’জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী (এসি) কমিশনার ফরহাদ সরদার বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- ভাবনা মালাকারের সাথে সাকলাইনের প্রথম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী এলাকার জয়বেদ মালাকারের মেয়ে ভাবনা স্বামীকে নিয়ে নারায়নগঞ্জ শহরে দুই রুমের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
গত ২৯ জানুয়ারি ভাবনা মালাকার বরিশালে আসলে তার সাথে নারায়নগঞ্জে চলে যায় সাকলাইন। এত দিন স্কুলছাত্র ভাবনা মালাকারের সাথে সেই বাসাটিতে ছিলো।
ভাবনার মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ নারায়নগঞ্জের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর উভয়কেই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
সহকারী কমিশনার ফরহাদ সরদার আরও জানান- বিষয়টি নিয়ে আমরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছি। কারণ ভাবনা মামলাকার বিবাহিত। যে কারণে তার স্বামী নিয়ে দুই রুমের বাসায় থাকেন।
যেখানে তাঁর স্বামী আছে- সেখানে অন্য আর একজনকে নিয়ে কিভাবে তিনি সেখানে ছিলেন। যদি সাকলাইনের সাথে প্রেমের সম্পর্কই হয় তাহলেতো একই বাসায় স্বামীকে নিয়ে থাকাটা অসম্ভব। তাই বিষয়টি অধিক গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এসি।
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, টাইমস স্পেশাল, বরিশালের খবর