১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

পলাতক নেতাকর্মীদের সন্ধ্যানে মাঠে পুলিশ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫১ অপরাহ্ণ, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

কলাপাড়া:  পটুয়াখালির কলাপাড়ায় রাষ্ট্রবিরোধী জামায়াতের পাঁচ নারী কর্মীসহ ১৯ জনের কর্মকান্ড সম্পর্কে পুলিশ বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে। এরা সবাই এই অঞ্চলে সংগঠনটির কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি সকল ধরনের অর্থায়ন করে আসছে।

বর্তমানে একজন আসামি জেল হাজতে রয়েছে। বাকিরা সবাই জামিনে রয়েছে। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিক এ প্রতিনিধিকে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছিলেন।

তাঁর বদলীর কারণে বর্তমানে মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়েছে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজকে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২০০৯ সংশোধিত ২০১৩’র বিভিন্ন ধারা, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টাসহ ওই কাজে অর্থায়ন ও নিষিদ্ধ সংগঠন সমর্থন করা এবং নাশকতার ষড়যন্ত্রের কাজে প্ররোচনা দেয়ার অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা পুলিশের মামলায় এসব তথ্য বেরিয়ে এসছে।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে- কুয়াকাটা, পায়রা বন্দরসহ কলাপাড়া উপজেলা হতে যাচ্ছে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ এলাকা ঘিরে চলছে বিভিন্ন ধরনের সরকারি মেগা প্রকল্প। বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় জামায়াত তাদের সংগঠন শক্তিশালী করতে গড়ে তুলেছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।

তারা গোপনে গোপনে নিয়মিত সভা চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্র“তিতে ১৪ মে কুয়াকাটার আজিমপুর গ্রামের জামায়াত শীর্ষনেতা মাওলানা নুরুল ইসলামের বাড়িতে গোপন সভা চলাকালে পুলিশ হানা দেয়।’

ওই সময় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া সেখান থেকে জামায়াতের কুয়াকাটার সাংগঠনকি কর্মকান্ডের পরিকল্পনার খাতা-পত্র, চাঁদা আদায়ের রশিদ, চাঁদা দাতাদের রশিদ বই, নগদ টাকা, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্ধ করে। একই দিনে মহিপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

এ মামলায় জামায়াতের পাঁচ নারী কর্মী হলেন- মেহের আলীর স্ত্রী মোসা. জয়নব রাণী, মাওলানা হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মোসা. নাজমা হাবিব, মাওলানা আব্দুল মান্নানের মেয়ে মোসা. জোবায়দা, মাওলানা আব্দুল মান্নানের স্ত্রী মোসা. হালিমা ও মোসা. তাসলিমা।’

এখানে সবার স্বামীর নাম উল্লেখ থাকলেও স্বামীর নাম গোপন করেছেন মোসা জোবায়দা। তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষক।

এরা ছাড়াও বেশ কয়েকজন মাদরাসা, কলেজ ও স্কুল শিক্ষক রয়েছেন যাদের এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে এ অঞ্চলে জামায়াত তাদের নারী সংগঠনকে চাঙা করতে নতুন কৌশলে এগুচ্ছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।’

পুলিশ চাঁদা আদায়ের রশিদ পর্যালোচনা করে দাতাদের নাম সংগ্রহ করেছেন। যাদেরকে নিষিদ্ধ সংগঠনের অর্থায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি পটুয়াখালী জেলার কার্যক্রমও চলত কুয়াকাটায় বসে। উপকূলীয় সাগরপারের এ জনপদে বিশেষ কোন বাহিনীর দৃশ্যমান অভিযান না হওয়ার সুযোগে জামায়াত তাদের পুরুষ সংগঠনের পাশাপাশি নারী সংগঠনকে চাঙা করতে থাকে।

গত ১৪ মে সভার পরে পুলিশ এদের কর্মকান্ড সম্পর্কে আরও ব্যাপক অনুসন্ধানে নেমে পড়ে। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা মাঠ পর্যায়ে পুরুষ-নারী যারা এমন কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবরে নেমেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাফিজ জানান, মামলাটির অধিকতর তদন্ত চলছে। এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও অজ্ঞাত আসামিদের শণাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

21 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন